বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের ধর্ষণের (Rape) ঘটনা রাজ্যে। এবার পশ্চিমবঙ্গের তারকেশ্বর রেল স্টেশনে এক ৪ বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে। এই ঘটনায় ফের প্রশ্ন উঠেছে রাজ্যের নিরাপত্তা নিয়ে।
ঠিক কী ঘটেছিল?
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ভোরে দিদিমার পাশ থেকে ঘুমন্ত অবস্থায় ৪ বছরের এক শিশুকন্যাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ (Rape) করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, স্টেশনের শেল্টারে ওই শিশুকন্যা তার বাবা-মা ও দিদিমার সঙ্গে ঘুমোচ্ছিল। সকালে হঠাৎ শিশুকে দেখতে না পেয়ে চিৎকার শুরু করেন তাঁরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা খোঁজাখুঁজির পরও মেলেনি কোনও হদিশ।অবশেষে শুক্রবার দুপুরে কয়েকজন স্টেশন চত্বরের ড্রেনের ধারে রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটিকে পড়ে থাকতে দেখে।
শিশুটিকে ওই অবস্থায় উদ্ধার করার পর তার শারীরিক অবস্থা থেকে স্পষ্ট হয় যে শিশুটিকে ধর্ষণ (Rape) করা হয়েছে। এরপরেই ক্ষোভ তৈরি হয় এলাকা জুড়ে। শিশুটির পরিবার সূত্রে খবর, মশারির ভিতরেই শিশুটি ঘুমোচ্ছিল। অভিযোগ, অভিযুক্ত মশারি কেটে শিশু কন্যাটিকে তুলে নিয়ে যায়, এবং এর পরেই তাকে যৌন নির্যাতন করা হয়।
শরীরে পোশাক ছিল না, গায়ে কামড়ের দাগ (Rape)
ঘটনাস্থলে গিয়ে বিজেপির আরামবাগ জেলা সভাপতি পর্ণা আদক জানান, “দিদিমার পাশে মশারির ভিতরে ঘুমোচ্ছিল শিশুটি। অভিযুক্ত মশারি কেটে তুলে নিয়ে যায়। পরে ড্রেনের ধারে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। শরীরে কোনও পোশাক ছিল না, সারা গায়ে কামড়ের দাগ, গালেও কামড়ের চিহ্ন। চিকিৎসা চললেও গোপনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ বন্ধ হচ্ছিল না।”
পরিবারের দাবি, তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পরই ছেড়ে দেওয়া হয় ওই নির্যাতিতা শিশু কন্যাটিকে। এরফলে হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে পরিবার। অভিযোগ, গোপনাঙ্গে রক্তক্ষরণ হওয়া সত্ত্বেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দেয়নি। পরিবারের সদস্যরা জানান, থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ তাঁদের তাড়িয়ে দেয়। এরপর বিজেপি কর্মীরা থানায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখালে পুলিশ ফের শিশুকন্যাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং পুনরায় মেডিক্যাল টেস্ট করানো হয়।

আরও পড়ুনঃ রাজভবনে গণবিবাহ দেবেন রাজ্যপাল, শুরু হল আবেদন প্রক্রিয়া, কীভাবে অ্যাপ্লাই করবেন? জানুন
এই ঘটনার পর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এক্স-এ পোস্ট করে ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি লেখেন, “তারকেশ্বরে ৪ বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ (Rape) করা হয়েছে। পরিবার থানায় গিয়েছিল, কিন্তু এফআইআর নেওয়া হয়নি। হাসপাতাল থেকেও ফেরত পাঠানো হয়েছে। পুলিশ অপরাধ ঢাকতে চাইছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী।” শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত এখনও অধরা। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সমগ্র হুগলি জেলাজুড়ে।












