বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলার বাড়ি প্রকল্পের গতি নিয়ে চিন্তায় নবান্ন (Nabanna)। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় প্রথম পর্যায়ে টাকা দেওয়া হলেও বহু উপভোক্তা এখনও বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেননি। তাই এবার সরাসরি মাঠে নামার নির্দেশ দেওয়া হল জেলাশাসকদের। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ জানিয়েছেন, যাঁরা প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েও কাজ শুরু করেননি, তাঁদের প্রত্যেকের বাড়িতে গিয়ে কারণ জানতে হবে এবং রিপোর্ট জমা দিতে হবে নবান্নে।
বাংলার বাড়ি প্রকল্প নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করল নবান্ন (Nabanna)
নবান্ন (Nabanna) সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের প্রায় তিন লক্ষ সত্তর হাজার বাড়ি এখনও অসম্পূর্ণ। প্রথম পর্যায়ের টাকা পাওয়া সত্ত্বেও কাজ শুরু হয়নি এই বিপুল সংখ্যক প্রকল্পে। এর মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনায় প্রায় ৪৭ হাজার, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৪৬ হাজার, মুর্শিদাবাদে ৩৯ হাজার এবং কোচবিহারে ২৯ হাজার বাড়ির কাজ থমকে রয়েছে। এই ঘটনায় গভীর অসন্তোষ প্রকাশ করেছে নবান্ন।
উপভোক্তাদের ঘরে ঘরে যাচ্ছেন জেলাশাসকরা
মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন প্রত্যেক সপ্তাহে জেলার অগ্রগতির রিপোর্ট পাঠাতে হবে নবান্নে (Nabanna)। যারা টাকা পেয়েও কাজ শুরু করেননি, তাঁদের ঘরে ঘরে গিয়ে বাস্তব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে হবে। নবান্নের দাবি, অসমাপ্ত প্রকল্পগুলির কাজ শেষ করাই এখন প্রশাসনের অগ্রাধিকার।
অসম্পূর্ণ প্রকল্পের মাঝেই শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় দফা
রাজ্য সরকার আগামী ডিসেম্বর থেকে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করার পরিকল্পনা নিয়েছে। কিন্তু তার আগেই প্রথম পর্যায়ের প্রকল্পগুলির ধীরগতি প্রশাসনের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যের প্রায় ঊনসত্তর শতাংশ উপভোক্তা বাড়ি তৈরির কাজ সম্পূর্ণ করেছেন বলে নবান্ন (Nabanna) জানিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ মুখ্যমন্ত্রী এনুমারেশন ফর্ম না ভরলে কি হতে পারে? কি বলছে নির্বাচন কমিশনের নিয়ম
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার বাড়ি প্রকল্পের সূচনা করেন। মূল উদ্দেশ্য ছিল গ্রামীণ গরিব ও দরিদ্র পরিবারের জন্য বিনামূল্যে আবাসনের ব্যবস্থা করা। কেন্দ্র সরকার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তহবিল বন্ধ করার পর, রাজ্য সরকার নিজস্ব প্রকল্প হিসেবে বাংলার বাড়ি প্রকল্প চালু করে উপভোক্তাদের সরাসরি আর্থিক সহায়তা প্রদান শুরু করে। এই প্রকল্পের গতিবিধি নিয়ে এবার নড়েচড়ে বসেছে নবান্ন (Nabanna)।












