মামদানির পর এবার ট্রাম্পের চিন্তা বাড়াচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত সৈকত চক্রবর্তী! চমকে দেবে তাঁর পরিচয়

Published on:

Published on:

Trump got a new Indian challenger in America.
Follow

বাংলাহান্ট ডেস্ক: আমেরিকায় (America) মামদানির পর ফের এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রতিদ্বন্দ্বী চিন্তা বাড়াচ্ছে ট্রাম্পের! মেয়র নির্বাচনে জয়ী হয়ে ইতিহাস গড়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত জোহরান মামদানি। তাঁর এই জয় শুধু ভারতীয় প্রবাসীদের জন্যই নয়, বরং মার্কিন রাজনীতির ক্ষেত্রেও এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। সেই ধারাতেই এবার নজর কাড়ছেন আর এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত তরুণ নেতা — সৈকত চক্রবর্তী। সান ফ্রান্সিসকো থেকে জয়ী হয়ে মার্কিন আইনসভায় প্রবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছেন এই বঙ্গতনয়, যিনি ইতিমধ্যেই ডেমোক্র্যাটিক পার্টির উদীয়মান মুখ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।

আমেরিকায় (America) এবার ট্রাম্পের চিন্তা বাড়াচ্ছেন এক বঙ্গতনয়:

আমেরিকার (America) টেক্সাসে এক বাঙালি পরিবারে জন্ম সৈকতের। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছাত্র হিসেবে তিনি সকলের নজর কাড়েন। ২০০৭ সালে বিশ্বের অন্যতম সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তবে প্রযুক্তির জগতে সীমাবদ্ধ না থেকে বরাবরই সমাজ ও রাজনীতির প্রতি তাঁর আগ্রহ ছিল প্রবল। হার্ভার্ডে পড়ার সময় থেকেই তিনি সক্রিয়ভাবে সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

আরও পড়ুন:শিক্ষক নিয়োগে সুখবর! একাদশ-দ্বাদশের ফল ঘোষণার পরেই শূন্যপদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল SSC

আমেরিকার (America) রাজনীতির ময়দানে সৈকতের প্রবেশ ঘটে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সঙ্গে যুক্ত হয়ে। তিনি মার্কিন আইনসভার সদস্য ওকাসিও কর্টেজ এবং ভারমন্টের সেনেটর বার্নি স্যান্ডার্সের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা হিসেবেও কাজ করেছেন। তাঁদের নির্বাচনী প্রচার কৌশল নির্ধারণ থেকে শুরু করে তরুণ ভোটারদের সংগঠিত করা — সবেতেই ছিল সৈকতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। সেই অভিজ্ঞতাই তাঁকে আরও দৃঢ় করেছে নিজের রাজনীতির পথ বেছে নিতে।

এবার তিনি নিজেই নির্বাচনে লড়তে চলেছেন আমেরিকার (America) সান ফ্রান্সিসকো থেকে। তিনি জানিয়েছেন, “আমাদের সমাজে এমন এক রাজনৈতিক নেতৃত্ব দরকার, যারা শুধুমাত্র ধনী বা প্রভাবশালীদের নয়, সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করবে।” সৈকত আরও বলেন, “নতুনদের জায়গা ছেড়ে দেওয়ার জন্য আমি ন্যান্সি পেলোসিকে ধন্যবাদ জানাই। আমি বিশ্বাস করি, সময় এসেছে নতুন প্রজন্মের নেতৃত্ব রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা নিক।”

Trump got a new Indian challenger in America.
সৈকত চক্রবর্তী

আরও পড়ুন:জার্মানির প্রতিপক্ষের কাছে পরাজয়! দাবা বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলেন ডি গুকেশ

সৈকতের এই অবস্থান অনেকের কাছেই ডেমোক্র্যাটিক পার্টির এক নতুন দিশা। তিনি মনে করেন, বারাক ওবামা ও জো বাইডেনদের নেতৃত্বাধীন দলটির ভেতরেও সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। তাঁর দাবি, “ট্রাম্প দ্বিতীয়বার আমেরিকার (America) প্রেসিডেন্ট হতে পেরেছেন কারণ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি সাধারণ মানুষের অসন্তোষ বুঝতে ব্যর্থ হয়েছিল। আমাদের আরও সংগঠিত, বাস্তবভিত্তিক এবং জনগণের কাছাকাছি হতে হবে।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সৈকত চক্রবর্তী যদি নির্বাচনে জয়ী হন, তবে তিনি আমেরিকার তরুণ প্রজন্মের কাছে এক নতুন অনুপ্রেরণা হয়ে উঠবেন। পাশাপাশি, ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের ক্রমবর্ধমান প্রভাবও আরও এক ধাপ বাড়বে মার্কিন রাজনীতিতে। সব মিলিয়ে, জোহরান মামদানির পর সৈকত চক্রবর্তীর উত্থান যেন নতুন বার্তা দিচ্ছে — আমেরিকার (America) রাজনীতিতে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের উপস্থিতি আর ব্যতিক্রম নয়, বরং এক ক্রমবর্ধমান শক্তি। তাঁদের সাফল্য শুধু প্রবাসী ভারতীয় সমাজেরই নয়, বিশ্বজোড়া বাঙালির গর্বের প্রতীক হয়ে উঠছে।