বাংলাহান্ট ডেস্ক : বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে ‘অসংসদীয়’ বক্তব্য পেশ করার অভিযোগ ওঠে গত সপ্তাহে। কমিশন ও দলের পক্ষ থেকে দিলীপ ঘোষকে শোকজ করা হয়। কুমন্তব্যের জন্য দিলীপ ঘোষ প্রকাশ্যে ক্ষমাও চান। তবে হাজারো বিতর্কের মাঝেও দিলীপ ঘোষ যে পুরনো ফর্মেই রয়েছেন তার প্রমাণ পাওয়া গেল শনিবার।
শনিবার মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর পুরোহিতের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “মাকে বলুন যাতে বর্ধমান দুর্গাপুরের সম্মান রাখতে পারি। বহিরাগতরা যেন জামাকাপড় খুলে রেখে চলে যায়।” এরপর আজ অর্থাৎ রবিবার সকালে মর্নিং ওয়াকে বেরিয়ে ফের একবার দিলীপ ঘোষ নিশানা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
আরোও পড়ুন : সকালের বাসে কলকাতা থেকে উঠে বিকেলে পৌঁছন ঢাকা! দেখে রাখুন সময়সূচি-ভাড়ার তালিকা
কিছুদিন আগে বাড়িতে পড়ে গিয়ে মাথায় চোট পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিকিৎসকদের পরামর্শে মুখ্যমন্ত্রী এতদিন বাড়িতেই বিশ্রামে ছিলেন। এরপর রবিবার তিনি প্রথম নির্বাচনী জনসভা করতে যাচ্ছেন নদীয়ার কৃষ্ণনগরে। দিলীপ ঘোষ এই প্রসঙ্গে রবিবার বলেন, “উনি এতদিন কেন প্রচারে নামেননি সেটা তো জিজ্ঞেস করুন। উনি মাথার স্টিকারটা কবে খুলবেন, ভোট শেষ হওয়ার আগে না ভোটের পরে?”
আরোও পড়ুন : ধুবুলিয়ার মুখ্যমন্ত্রীর পৌঁছনোর আগেই বিপত্তি! ঝড়ে লণ্ডভণ্ড মমতার সভাস্থল, মাথায় হাত আয়োজকদের
এখানেই না থেমে দিলীপের আরো বক্তব্য, “ভোটের আগে চোট। এটাও তো ভোটের রেসিপি! হাত-পা ভাঙবে, মাথা ভাঙবে, কোথাও না কোথাও চোট লাগবেই। ওই ইমোশনাল ভোট আর হবে না!” তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এই বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ” ভোটে জেতার জন্য বিজেপির মতো আমাদের কোনও মিথ্যে কথা বলতে হয় না। কারণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেস ৩৬৫ দিনই মানুষের পাশে থাকে, মানুষের সঙ্গে থাকে।”
পাশাপাশি তাঁর আরোও সংযোজন, “একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে টার্গেট করে বিজেপির নেতারা বারে বারে নোংরা ভাষায় কথা বলছেন। বর্ধমান-সহ সারা রাজ্যের মানুষ ইভিএমে এর যোগ্য জবাব দেবে।” এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের প্রার্থী কীর্তি আজাদ দিলীপকে ‘ছাগলে’র সঙ্গে তুলনা করে বলেছেন, “বেঙ্গলি মে কাহা বাত হে, পাগলে কিনা বলে ছাগলে কিনা খায়!”