বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জলপাইগুড়ির শিল্পসমিতি পাড়ায় করলা নদীর ধারে ব্যক্তিগত জমিতে পুরসভার ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি নিয়ে টানাপোড়েন অবশেষে হাই কোর্ট (Calcutta High Court) পর্যন্ত গড়াল। দীর্ঘদিনের প্রতিবাদ, মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদানের পর শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্য স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, কোনও অবস্থাতেই ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জমিতে ডাম্পিং গ্রাউন্ড করতে পারবে না পুরসভা।
কী নির্দেশ দিয়েছে আদালত (Calcutta High Court)?
হাই কোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে বলা হয়েছে, পুরসভা ওই এলাকায় সীমানা প্রাচীর ও পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য যে নোটিস বোর্ড ঝুলিয়েছিল, সেটিও অবিলম্বে খুলে ফেলতে হবে। জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলের সদস্য সন্দীপ মাহাতো এদিন বলেন, “ওই এলাকায় থাকা খাসজমিতে এ বার ডাম্পিং গ্রাউন্ড করার পরিকল্পনা রয়েছে।” পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার দেবদুলাল পাত্র জানান, “কোন জায়গায় বর্জ্য ফেলা হবে, তা নিয়ে সোমবার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলের বৈঠক ডাকা হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, জলপাইগুড়ির বালাপাড়া এলাকায় পুরসভার স্থায়ী ডাম্পিং গ্রাউন্ড থাকলেও সেখানে নির্মাণকাজের অজুহাতে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পুরসভা ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে শিল্পসমিতি পাড়ায়, করলা নদীর ধারে ‘সেকেন্ডারি ডাম্পিং গ্রাউন্ড’ তৈরি করে। তখনই এলাকায় ছড়ায় দুর্গন্ধ, মশা–মাছির উৎপাত। স্থানীয়রা তীব্র প্রতিবাদে নামেন। পুরসভা জানায়, “কিছু দিনের জন্য” এই জমি ব্যবহার করা হবে, পরে পুরনো জায়গায় ফের বর্জ্য ফেলা শুরু হবে। কিন্তু এক বছর ছয় মাস পার হলেও সেই প্রতিশ্রুতি রাখা হয়নি।
ওই ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলার অম্লান মুন্সী বলেন, “পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে জানিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করি, স্মারকলিপি দিই। কিন্তু পুরসভা কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। তখনই জমি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।” তদন্তে জানা যায়, যে জমিতে ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি করা হয়েছে, তা দুই ব্যক্তির মালিকানাধীন।

আরও পড়ুনঃ SIR শেষে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ বাদ পড়লে কী করবেন? জানুন কমিশনের নির্দেশ
জমির অন্যতম মালিক ভাস্কর সরকার জানান, “পুরসভা যখন বর্জ্য ফেলা শুরু করে, তখনই জানানো হয়েছিল জমিটি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন। কিন্তু তারা কিছু দিনের অজুহাত দিয়ে সেটি ব্যবহার শুরু করে। পরে সাইনবোর্ড লাগানোর পর আমরা হাইকোর্টে যাই।” তিনি আরও বলেন, “বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের এই রায়ে আমরা খুশি।” সূত্রের খবর, আদালত (Calcutta High Court) আগামী ১৭ নভেম্বর পুরসভাকে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে।












