SIR-এ প্রায় ৩ কোটি ভোটার পেতে পারেন নোটিস! তারপর কি করবেন? জানুন

Published on:

Published on:

SIR
Follow

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর ঘুরলেই বাংলায় বিধানসভা ভোট। আর তার আগেই শুরু এসআইআর। ২৮ অক্টোবর থেকেই পশ্চিমবঙ্গসহ দেশের ১২টি রাজ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা (SIR) প্রক্রিয়া। ফর্ম বিতরণ ও ভর্তি করার জন্য ৪ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের এই ঘোষণা সামনে আসতেই তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতিতে। সারা বাংলা জুড়ে উদ্বেগ।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যাচ্ছে, SIR প্রক্রিয়ায় ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ ভোটার অর্থাৎ আড়াই থেকে ৩ কোটি ভোটার নোটিস পেতে পারেন। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে উদ্বেগ! জানিয়ে রাখি, যাঁদের নাম বা পরিবারের কারও নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নেই, তারা কমিশনের নোটিস পাবেন। রিপোর্ট বলছে, এই সংখ্যা বর্তমান মোট ভোটারের ৩৫ থেকে ৪০% পর্যন্ত হতে পারে।

উল্লেখ্য, বাংলার মোট ভোটারসংখ্যা প্রায় ৭ কোটি ৬৪ লক্ষ। এর ৩০-৪০% অর্থাৎ, ২.৫ থেকে ৩ কোটি ভোটার নোটিস পেতে পারেন এই প্রক্রিয়ায়! যদি কেও নোটিস পান তাহলে কি করণীয়? জানিয়ে রাখি, গত মঙ্গলবার থেকে রাজ্যে শুরু হয়েছে এসআইআর। বিএলওরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করেছেন।

৪ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় সেই ফর্ম বিতরণ ও ভর্তি করার জন্য। ৯ ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে। কমিশন আশ্বাস দিয়েছে, “কোনও বৈধ ভোটারের নাম বাদ যাবে না।”কমিশনের নোটিস পেলে ৯ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত অভিযোগ জমা  ও শুনানির জন্য সুযোগ পাবেন রাজ্যের মানুষেরা।

এই সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ভোটারদের প্রমাণপত্রসহ ফর্ম জমা দিতে হবে। ইআরও, জেলা শাসক এবং রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক স্তরে শুনানি হবে। সঠিক নথি না দিতে পারলে ভোটারদের নাম চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ যাওয়ার সম্ভাবনা।

sir

আরও পড়ুন: ৪৭ ঘণ্টায় আবহাওয়ার ‘নয়া খেল’ শুরু! কলকাতা নিয়েও বড় আপডেট দিল হাওয়া অফিস

যাঁদের জন্ম ১ জুলাই ১৯৮৭ সালের আগে হয়েও ২০০২ সালের তালিকায় নাম নেই, তাঁরা কমিশনের নির্দিষ্ট করে দেওয়া ১১টি নথির যেকোনও একটি যেমন রেশন কার্ড, পাসপোর্ট ও রঙিন ছবি জমা করতে পারবেন। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল জানিয়েছেন, “ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য পর্যাপ্ত সময় ও সুযোগ থাকবে সকলের কাছে।” পাশাপাশি কাউকে না আতঙ্কিত হওয়ার কথা বলেছেন তিনি।