বাংলাহান্ট ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের পর ৬ মাস পেরোলেও পাকিস্তানের (Pakistan) জঙ্গি সংগঠনগুলির ষড়যন্ত্র থামেনি। নতুন করে ফের বড় হামলার ছক কষছে লস্কর-ই-তোয়েবা, জইশ-ই-মহম্মদ এবং পাক সেনার বিশেষ বাহিনী এসএসজি। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার নয়া রিপোর্টে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য—পাকিস্তানের মদতে জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় জঙ্গিরা নতুন করে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। হামলার তীব্রতা ২০২৫ সালের পহেলগাঁও হামলার চেয়েও ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভারতের ওপর আরও বড় হামলার ছক কষছে পাকিস্তান (Pakistan)
রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত এক মাস ধরে পাক (Pakistan) জঙ্গিরা ড্রোনের মাধ্যমে সীমান্তের বিভিন্ন অংশে নজরদারি চালাচ্ছে। সেই ড্রোনের মাধ্যমেই অস্ত্র ও গোলাবারুদ ভারতে পাচার করা হচ্ছে। তদন্তকারীদের ধারণা, ইতিমধ্যেই কিছু লস্কর ও জইশ জঙ্গি সীমান্ত পেরিয়ে কাশ্মীরে ঢুকে পড়েছে। তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে এক ‘শামসের’ নামধারী জঙ্গি, যদিও এটি কোডনেম বলেই মনে করা হচ্ছে। এই জঙ্গিরা পাকিস্তান সেনার স্পেশ্যাল সার্ভিস গ্রুপের (SSG) প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, অর্থাৎ চরম প্রতিকূল অবস্থাতেও যুদ্ধ চালাতে সক্ষম।
আরও পড়ুন: ফ্ল্যাট থেকে শুরু করে রত্ন ভাণ্ডার! আদালতের অনুমতিতে নিলামে উঠবে মেহুল চোকসির ৪৬ কোটির সম্পদ
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা আশঙ্কা করছেন, এবার হামলাগুলি হতে পারে আত্মঘাতী কায়দায় বা ‘ফিদায়েঁ’ মিশনে। পাকিস্তান (Pakistan) অধিকৃত কাশ্মীরে (POK) একাধিক জঙ্গি শিবিরে আত্মঘাতী বিস্ফোরণের বিশেষ প্রশিক্ষণ চলছে। সূত্রের খবর, জামাত-উদ-দাওয়া, হিজবুল মুজাহিদিন, আইএসআই এবং পাক সেনার উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের মধ্যে গত অক্টোবরে একটি গোপন বৈঠক হয়েছে, যেখানে ভারতীয় সেনা এবং নেতাদের উপর হামলার পরিকল্পনা গৃহীত হয়। এই বৈঠকেই জঙ্গি সংগঠনগুলির স্লিপার সেলগুলোকে পুনরায় সক্রিয় করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গোয়েন্দারা আরও জানিয়েছেন, মাদক পাচারের টাকা থেকে এই স্লিপার সেলগুলিকে অর্থসাহায্য দিচ্ছে পাকিস্তানের (Pakistan) আইএসআই। সীমান্তবর্তী পাঞ্জাব, রাজস্থান ও জম্মু অঞ্চলে চরবৃত্তি এবং তথ্য সংগ্রহের জন্য স্থানীয়দের প্রলোভন দেখিয়ে কাজে লাগানো হচ্ছে। ফলে গোটা উত্তর ভারতজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। নর্দান কমান্ড এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকে হাই অ্যালার্টে রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন:টলিউডে কাজ বৃদ্ধির আশায় বিজেপিতে যোগদান, রাজনীতি ছাড়লেও এখন কাজ হীন রূপা!
এই পরিস্থিতিতে কড়া বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, “ পাকিস্তান (Pakistan)একটিও গুলি চালালে, তার জবাব গুলিতেই দেওয়া হবে।” সরকারের নির্দেশে সীমান্ত এলাকায় সেনা মোতায়েন আরও বাড়ানো হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলির রিপোর্টকে ‘ক্রিটিক্যাল ওয়ার্নিং’ হিসেবে দেখা হচ্ছে দিল্লিতে।
পহেলগাঁও হামলার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছিল কাশ্মীর। পর্যটকরাও ফের ভূস্বর্গমুখী হচ্ছেন। বড়দিন ও নতুন বছরকে ঘিরে যখন পুরো উপত্যকা উৎসবের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত, তখন ফের পাক (Pakistan) জঙ্গিদের এই নতুন ষড়যন্ত্রে উদ্বেগ বাড়ছে প্রশাসনের শীর্ষ মহলে। তবে গোয়েন্দা সংস্থাগুলি জানিয়েছে, আগাম সতর্কতা নেওয়া হয়েছে, এবং যেকোনও জঙ্গি নাশকতার চেষ্টা রুখে দিতে প্রস্তুত ভারতীয় বাহিনী।












