বাংলাহান্ট ডেস্ক : হুগলির বলাগড়ের দুলাল পালের জীবন আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের থেকে আলাদা। বিশেষভাবে সক্ষম দুলাল বাবু সেই যৌবনের দিন থেকে যুক্ত তৃণমূলের সাথে। আজ তার বয়স ছুঁয়েছে ৭০ বছর। বামুনত্বের শিকার তিনি। দেহের তুলনায় হাত-পা ছোট। দুলাল বাবুর গোটা পরিবারেরই রয়েছে এই সমস্যা।
কিন্তু তবুও শুধুমাত্র দল ও দলনেত্রীকে ভালোবেসে বছরের পর বছর ধরে নিঃস্বার্থভাবে সেবা করে গেছেন তৃণমূলের। দুলাল বাবুর সম্বল বলতে হাতে টানা তিন চাকার একটি সাইকেল। হাজারো প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে সেই সাইকেল নিয়ে দুলাল বাবু ছুটে যান বিভিন্ন সভায়। তৃণমূলের তারকা প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার বিকেলে সভা করেন হুগলির বলাগরে।
আরোও পড়ুন : তুমুল ঝড় বৃষ্টির বাড়ছে সম্ভবনা, সঙ্গে জারি কমলা সতর্কতা! দেখুন, আজ দিনভর কেমন থাকবে দুই বঙ্গ
হাতে টানা তিন চাকার সাইকেল নিয়ে দুলাল বাবু পৌঁছে যান সেখানেও। যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি করেন, তখন থেকেই ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেন তিনি। কোনও কিছুর আকাঙ্ক্ষা না রেখে শুধুমাত্র দলকে ভালোবেসে বছরের পর বছর ধরে তৃণমূলে অতিবাহিত করেছেন জীবন।
আরোও পড়ুন : বঙ্গবাসীর জন্য সুখবর! এবার বাংলা থেকেই দিল্লি যাবে নতুন কয়েকটি স্পেশাল, দেখুন তারিখ, সময়
লোকসভা নির্বাচনের আগে দলের গতিপ্রকৃতি জানতে তাই তিনি ছুটে এসেছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাতেও। দুলাল বাবু জানান, তিনি প্রথম জীবনে কংগ্রেস করতেন। এরপর তৃণমূলের জন্ম লগ্ন থেকেই যুক্ত ঘাসফুল শিবিরে। প্রথম থেকেই দলের সৈনিক হিসেবে কাজ করে গেছেন। হাঁটাচলা করতে পারেন না এখন। টুকটাক কাজ করে জীবন চলত।
তবে এই ৭০ বছর বয়সে এসে আর কাজ করতে পারেন না। তাই তিনি সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছেন যাতে কিছু একটা ব্যবস্থা করা যায়। দুলাল বাবুর আর্জি, সারা জীবন তিনি দলের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে গেছেন। এখন তিনি যখন কিছু করতে পারছেন না তখন দল তার পাশে দাঁড়াক।