বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সোমবার তমলুকে ভোট প্রচারে বেরিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী তথা কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। প্রচার থেকেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে সুর চড়ান তিনি। অভিজিৎ বলেন, ‘শুধু বলবে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে হাজার টাকা দিয়ে দিচ্ছি। এই জানোয়াররা এটা জানে না যে মানুষ ভিখিরি নয়। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের নামে তোমরা পৈতৃক সম্পত্তির টাকা দিচ্ছ না’।
অভিজিতের এই মন্তব্যে কানে এসেছে তৃণমূল (TMC) নেতৃত্বের। এবার এই নিয়ে পাল্টা দিলেন দলের অন্যতম ‘পুরনো সৈনিক’ কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তৃণমূল নেতা বলেন, ‘অভিজিৎ ঠিক বলেছেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা তৃণমূলের পৈতৃক নয়। তবে এই একই প্রশ্ন নরেন্দ্র মোদীকেও তাঁর করা উচিত। প্রধানমন্ত্রী বাংলায় প্রচার করতে এলে অভিজিতের ওনাকে জিজ্ঞেস করা উচিত, গরিব মানুষকে রেশন সামগ্রী দেওয়ার ব্যাগে মোদীর ছবি লাগানো হচ্ছে কেন? রেশনের টাকা কি বিজেপির বাবার টাকা?’
এখানেই অবশ্য থামেননি কুণাল। তৃণমূল নেতা বলেন, করোনাকালে কোভিডের ওয়েবসাইট থেকে শুরু করে টিকার শংসাপত্র সবকিছুতে মোদীর ছবি লাগানো ছবি। সেটা কি বিজেপির (BJP) পৈতৃক সম্পত্তির টাকায় দেওয়া হয়েছিল প্রশ্ন তোলেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ ভোটের আগেই মাথায় বাজ! দেবাংশুর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ BJP-র! প্রার্থীপদ খারিজ হবে না তো?
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রসঙ্গে এদিন অভিজিৎ বলেন, ‘এগুলো সরকারের উপার্জন করা করের টাকা যা কিনা গোটা দেশ থেকে এসেছে। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টাকা নয়। এটার জন্য কোনও কৃতিত্ব তোমরা দাবি করতে পারো না’। এই মন্তব্যটি নিয়েও সরব হয়েছেন কুণাল।
তৃণমূল নেতা বলেন, কেন্দ্র-রাজ্য ব্যবস্থা, প্রশাসনিক ব্যবস্থা, পঞ্চদশ ও ষোড়শ অর্থ কমিশনের বিষয়ে অভিজিৎ গাঙ্গুলির পড়াশোনা করা উচিত। কুণাল বলেন, ‘বাংলার মানুষের থেকে করবাবদ যে অর্থ আদায় করা হয়, সেই কেন্দ্রীয় করের টাকার মাত্র ৪১% রাজ্য পায়। অর্থাৎ বেশিরভাগ টাকাই দিল্লি চলে যায়। আর সেই টাকা দিয়ে মোদী সরকার ফুটানি করছে। বাংলা কেন্দ্রের দয়ায় চলছে না। কেন্দ্র যে টাকা দেয় সেটা এখানকার মানুষের অধিকারের টাকা’। বিজেপির সামন্ত্রতান্ত্রিক এবং জমিদারি মানসিকতা তমলুকের পদ্ম প্রার্থীর মাথায় খুব তাড়াতাড়ি ঢুকে গিয়েছে বলে দাবি করেন কুণাল।