SIR-এর চাপ সামলাতে না পেরেই কি মৃত্যু মহিলা বিএলও-র? বিস্ফোরক দাবি পরিবারের, তদন্তে নামল জেলা প্রশাসন

Published on:

Published on:

BLO dies under SIR workload pressure in East Burdwan
Follow

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পূর্ব বর্ধমানের মেমারি ব্লকের চক বলরামপুর এলাকায় এক বিএলও অফিসারের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযোগ, এসআইআর (SIR)-এর কাজের অতিরিক্ত চাপই কেড়ে নিল ওই মহিলা কর্মীর প্রাণ। মৃতার নাম নমিতা হাঁসদা (৩৮)। তিনি পেশায় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ছিলেন এবং ২৭৮ নম্বর বুথের বিএলও-র দায়িত্বে ছিলেন।

কী হয়েছিল নমিতার?

শনিবার সন্ধ্যায় ফর্ম বিলির কাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন নমিতা। পরিবারের অভিযোগ, টানা কাজের চাপে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। স্বামী মাধব হাঁসদা বলেন, “খুব চাপ দেওয়া হচ্ছিল। কত ফর্ম বিলি করতে হবে, টার্গেট বেঁধে দেওয়া হত। বিডিও অফিস থেকে ফোনে বলা হত, ‘কী কাজ করছেন?’ আমি বারবার বলেছিলাম, বেশি চাপ নেবে না। কিন্তু তাতেও ওর মানসিক চাপ কমেনি।” এর পরেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন নমিতা। স্থানীয়রা তাঁকে তড়িঘড়ি কালনা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্রেন স্ট্রোক হয়েছিল তাঁর।

এসআইআর (SIR)-এর জন্যই কি মৃত্যু?

ঘটনার খবর ছড়াতেই প্রশাসনের তরফে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক আয়েশা রানি জানিয়েছেন, “জেলায় সবাই কাজ করছে। কী হয়েছে, সেটা আমরা তদন্ত করে দেখছি।” অন্যদিকে, রাজনীতিতেও শুরু হয়েছে দোষারোপের পালা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা কোনও চাপ দিইনি। যাঁরা চাপ দিয়েছে, তাদের ব্যাপার। ক’টা বাড়ি, ক’টা পরিবার, সেটা তো আপনারাই জানেন।”

BLO dies under SIR workload pressure in East Burdwan

আরও পড়ুনঃ RSS কি মুসলিমদের নেবে? সোজাসাপটা জবাবে মোহন ভাগবত বললেন…

উল্লেখ্য, সম্প্রতি এসআইআর-এর (SIR) কাজের কারণে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি তুলেছেন তাঁদের পরিবার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মঞ্চেও দেখা গিয়েছে মৃতদের পরিবারের সদস্যদের। তবে এই প্রথম এসআইআর-এর কাজে যুক্ত এক বিএলও-র মৃত্যুর ঘটনা সামনে এল। এই ঘটনা নিয়ে প্রশাসনিক মহলে শুরু হয়েছে তুমুল উত্তেজনা।