পার্ক স্ট্রিটে আর হোর্ডিং নয়! কলকাতা পুরসভার সিদ্ধান্তে মামলা হাই কোর্টে

Published on:

Published on:

Kolkata civic ad policy faces Calcutta High Court challenge
Follow

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শহরের দৃশ্যদূষণ রুখতে নতুন বিজ্ঞাপন নীতি ঘোষণা করেছিল কলকাতা পুরসভা। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের উদ্যোগে ইতিমধ্যেই তিনটি ব্যস্ত রাস্তা, যথা- পার্ক স্ট্রিট, ক্যামাক স্ট্রিট এবং থিয়েটার রোড বেসরকারি বিজ্ঞাপনী কাঠামোমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তকেই এবার চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে আদালতে। কলকাতা পুরসভার এই সিদ্ধান্ত এই নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেছে একাধিক বেসরকারি বিজ্ঞাপন সংস্থা।

তিন রাস্তা থেকে সরছে বেসরকারি হোর্ডিং

পুরসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ওই তিনটি রাস্তায় ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি বা বিল্ডিংয়ে থাকা মোট ১৫টি বেসরকারি অ্যাড-স্পেস খুলে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যেই অনেকাংশে সেই কাজও সম্পন্ন হয়েছে।
একই সঙ্গে এই এলাকাগুলিতে সরকারি আওতায় প্রায় ১৮ হাজার বর্গফুট বিজ্ঞাপনী কাঠামো তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে পুরসভা। অনলাইন নিলামের মাধ্যমে সেই স্পেস বরাদ্দ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বার্ষিক বিজ্ঞাপন ফি বাবদ ‘বেস প্রাইস’ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ কোটি টাকা। যে সংস্থা ই-অকশনে সর্বাধিক দর দেবে, তাকেই সুযোগ দেবে পুরসভা। কিন্তু মামলা দায়েরের ফলে আপাতত পুরো প্রক্রিয়াটাই আইনি প্রশ্নের মুখে।

হাই কোর্টে (Calcutta High Court) মামলায় কি বলা হয়েছে?

এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেছে ‘আউটডোর অ্যাডভার্টাইজিং অ্যাসোসিয়েশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল’। সংগঠনের এক সদস্য বলেন, “পুরসভা তিনটি রাস্তায় বেসরকারি অ্যাড-স্পেস বন্ধ করে দিচ্ছে, অথচ ওগুলোকে নো-হোর্ডিং জোন ঘোষণা করা হয়নি। এই জায়গাগুলোতে যাঁদের জমি বা ভবন রয়েছে, তাঁদের আয় এই বিজ্ঞাপনের উপর নির্ভরশীল। পুরসভা ফি নেয়, আমরাও মালিকদের ভাড়া দিই। এইভাবে হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়া আমাদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন।”

এই মামলার প্রেক্ষিতে পুরসভার বিজ্ঞাপন বিভাগের এক কর্তা পালটা বলেন, “যা এতদিন ধরে চলে এসেছে, সেটা খারাপ হলেও চলতে দিতে হবে, এমন কোনও নিয়ম নেই! মেয়র ফিরহাদ হাকিম স্পষ্ট করে বলেছেন যে, যত্রতত্র বিজ্ঞাপনের কারণে শহরের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। তাই সরকারি নিয়ন্ত্রণেই শহরের বিজ্ঞাপন কাঠামো থাকবে। আদালতেই আমরা নিজেদের বক্তব্য রাখব।”

আরও পড়ুনঃ সুপ্রিম কোর্টের শর্ত পূরণ! আজই জেলমুক্তির পথে পার্থ চট্টোপাধ্যায়?

আগামী ১২ নভেম্বর বুধবার কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে খবর সূত্রের। পুরসভা সূত্রে খবর, আদালতের নির্দেশ না আসা পর্যন্ত ই-অকশনের প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আপাতত বিজ্ঞাপনদাতা সংস্থাগুলির দাবি ও পুরসভার অবস্থানের মধ্যে জোরদার সংঘাত তৈরি হয়েছে শহরের বিজ্ঞাপন নীতিকে ঘিরে।