৬০ নম্বরের মধ্যে ৩৮, হাইকোর্টে যাওয়ার আগেই ‘ভুল’ শুধরে নিল SSC

Published on:

Published on:

ssc(4)
Follow

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এসএসসি (School Service Commission) নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক পদে নিয়োগের পরীক্ষায় হাইকোর্টের নির্দেশ মতো অংশ নিয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থী আব্দুস সাত্তার। এই আব্দুল বোলপুর সংশোধনাগারে বিচারাধীন রয়েছেন। জেলে বসেই পরীক্ষা দিয়েছেন তিনি। তবে এসএসসি দেখাচ্ছে অনুপস্থিত। এসএসসির লিখিত পরীক্ষায় তাঁকে ‘অনুপস্থিত’ দেখানো হয়েছে। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়।

শোরগোল পড়তেই সামনে এল নম্বর | School Service Commission

এবিষয়ে সোমবার হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চলেছেন বলে গতকালই জানান তাঁর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। এরই মধ্যে নিজেদের ‘ভুল’ শোধরালো স্কুল সার্ভিস কমিশন। আবদুস সাত্তার নামে ওই চাকরিপ্রার্থীর লিখিত পরীক্ষার ফল আপডেট করেছে কমিশন।

প্রথমে এসএসসি সূত্রে জানানো হয়, কোনও ভুল হয়ে থাকতে পারে। তারপরই দ্রুত ওই চাকরিপ্রার্থীর লিখিত পরীক্ষার ফল সংশোধন করে প্রকাশ করা হয়। কয়েকঘণ্টা পর ফল সংশোধন করা হয় করলে দেখা যায়, লিখিত পরীক্ষায় ৬০ নম্বরের মধ্যে ৩৮ পেয়েছেন আব্দুস সাত্তার।

আব্দুসের আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের প্রশ্ন, হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে এসএসসির নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় বসেন তার মক্কেল। হাই কোর্টের নির্দেশ মতো জেলে বসেই পরীক্ষা দিয়েছিলেন আব্দুল সাত্তার। কিন্তু ফলপ্রকাশের পর দেখা যায় তিনি অনুপস্থিত! তাহলে পরীক্ষা বসল কে?

এই বিষয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ভূমিকায় প্রশ্ন তোলেন আইনজীবী। বলেন, ‘বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশে বোলপুর সংশোধনাগারে নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের পরীক্ষা দেন আবদুস। পরীক্ষা দেওয়ার পর আদালতকে জানানো হয়, তাঁর উত্তরপত্র একটি ট্যাঙ্কে করে পাঠানো হয়েছে। এদিকে একাদশ-দ্বাদশের পরীক্ষার ফলে লিখিত পরীক্ষায় তাকে অনুপস্থিত দেখানো হয়। এ থেকে খুব পরিষ্কার, কীভাবে পরীক্ষাটি নেওয়া হয়েছে।’

SSC

আরও পড়ুন: মঙ্গলবার নয়, DA মামলার রায়দান হতে পারে বুধে, কখন? সরকারি কর্মচারীদের জন্য বড় আপডেট

উল্লেখ্য, স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষকপদে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৫ লক্ষ ৬৬ হাজার। এর মধ্যে নবম-দশম শ্রেণির জন্য পরীক্ষায় বসেছিলেন ২ লক্ষ ৯৩ হাজার ১৯২ জন। আর একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির জন্য পরীক্ষা দিলেন ২ লক্ষ ২৯ হাজার ৪৯৭ জন। গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের জন্য পরীক্ষা নিয়েছিল এসএসসি। পরীক্ষার ৫৪ দিনের মাথায় ফল প্রকাশিত হয়।