দিল্লিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের নেপথ্যে কারা? তদন্তে সন্দেহের তির ফরিদাবাদের জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি মডিউলের দিকেই

Published on:

Published on:

Who is behind the deadly Delhi Explosion?
Follow

বাংলাহান্ট ডেস্ক: দিল্লির লালকেল্লার সামনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের (Delhi Explosion) তদন্তে উঠে এল পাকিস্তান মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের নাম। ১১ জনের মৃত্যু ও অন্তত ৩০ জনের আহত হওয়ার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে উঠে এসেছে কাশ্মীরের চিকিৎসক উমর উন নবি, যিনি জইশের হরিয়ানার ফরিদাবাদ মডিউলের সদস্য বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। তদন্তে আরও জানা গেছে, রবিবার তাঁর সহযোগী দুই চিকিৎসক—মুজাম্মিল শাকিল ও আদিল আহমেদ রাঠার—গ্রেফতার হওয়ার খবর জানার পরই ভয় পেয়ে উমর বিস্ফোরণ ঘটায়। বিস্ফোরণের আগে ওই মডিউলের আস্তানায় এনআইএ ও রাজ্য পুলিশের যৌথ অভিযানে প্রায় ২ হাজার ৯০০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছিল।

দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে (Delhi Explosion) যোগ রয়েছে জইশ মডিউলের?

সোমবার সন্ধ্যায় লালকেল্লার পাশের নেতাজি সুভাষ মার্গে বিস্ফোরিত হয় একটি সাদা গাড়ি (Delhi Explosion)। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, সিগন্যালে গাড়িটি থেমে ছিল, আর মুহূর্তের মধ্যেই বিস্ফোরণ ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, গাড়িটিতেই ছিলেন উমর। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, গাড়িতে ব্যবহৃত হয়েছিল অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ফুয়েল অয়েল বা এএনএফও—একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরক যা শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের ২২টি গাড়িতে। বিস্ফোরণের পর চারদিকে ধোঁয়ার স্তম্ভ উঠতে দেখা যায়, ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।

আরও পড়ুন: দিল্লিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় শোকস্তব্ধ ক্রিকেট দুনিয়া! গম্ভীর-ধাওয়ান দিলেন বিশেষ বার্তা

দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল সূত্রে জানা গেছে, বিস্ফোরণে (Delhi Explosion) ব্যবহৃত গাড়িটি প্রথমে সালমান নামে এক ব্যক্তির নামে নথিভুক্ত ছিল। পরে একাধিক হাতবদলের পর তা উমরের কাছে আসে। শেষ পর্যন্ত তিনিই গাড়িটির চালক ও ব্যবহারকারী ছিলেন। বিস্ফোরণের পর তাঁর দেহাংশ শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষা শুরু করেছে পুলিশ।

কে এই উমর উন নবি? তদন্তে জানা গেছে, ১৯৮৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জন্ম উমরের। ফরিদাবাদের আল ফালাহ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। পুলিশের দাবি, তিনি “হোয়াইট কলার টেরর নেটওয়ার্ক”-এর সক্রিয় সদস্য, যেখানে উচ্চশিক্ষিত পেশাজীবী ও চিকিৎসকেরা পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনের অর্থ ও অস্ত্র লেনদেনে যুক্ত। এই বিস্ফোরণের (Delhi Explosion) ঘটনায় পুলিশ ইউএপিএ, ভারতীয় দণ্ডবিধির খুন, হত্যাচেষ্টা এবং সন্ত্রাসবাদের বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করেছে। তদন্তে যুক্ত রয়েছে এনআইএ, দিল্লি পুলিশ ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে তদন্ত এগোচ্ছে।

Who is behind the deadly Delhi Explosion?

আরও পড়ুন: রান্নার আগে ডিম ধোবেন কি না, এই প্রশ্নের উত্তর জানলেই বদলাবে অভ্যাস

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত অক্টোবর মাসে শ্রীনগরের বিভিন্ন জায়গায় জইশ ও আনসার গজওয়াত-উল-হিন্দের হুমকিপূর্ণ পোস্টার উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই এই মডিউলটির উপর নজরদারি শুরু হয়। সেই সূত্র ধরেই ফরিদাবাদের জঙ্গি আস্তানা চিহ্নিত করা সম্ভব হয় এবং একে একে ধরা পড়ে মোট আটজন সন্দেহভাজন, যাঁদের মধ্যে একজন স্থানীয় ধর্মগুরুও রয়েছেন (Delhi Explosion)।

Who is behind the deadly Delhi Explosion.
উমর উন নবি

 

লালকেল্লার বিস্ফোরণ (Delhi Explosion) শুধু দিল্লির নিরাপত্তা বলয়কেই নয়, গোটা দেশের সন্ত্রাসবিরোধী ব্যবস্থাকেও প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে। এটি আত্মঘাতী হামলা ছিল, নাকি পরিকল্পিত সন্ত্রাসী আক্রমণ—তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা। গোয়েন্দা সংস্থাগুলির মতে, এই বিস্ফোরণ ভারতের অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকা আন্তর্জাতিক জঙ্গি চক্রের নতুন রূপকেই সামনে এনেছে।