বাংলাহান্ট ডেস্ক : এসআইআর আবহে এবার কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ গ্রহণ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। গত ২৬ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এক মাসের মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা সোনালি বিবি সহ ছয় জনকে ভারতে নিয়ে আসার। কিন্তু সেই নির্দেশও মানা হয়নি। উপরন্তু কেন্দ্রের তরফে শীর্ষ আদালতে স্পেশ্যাল লিভ পিটিশনও দায়ের করা হয়েছে। অন্তঃসত্ত্বা সোনালি বিবি সহ বাকি পরিযায়ী শ্রমিকরা এখনও বাংলাদেশেই আটকে রয়েছেন।
বাংলাদেশি সন্দেহে গ্রেফতার হয় অন্তঃসত্ত্বা সোনালি বিবি (Calcutta High Court)
আগামী ২৮ নভেম্বর কেন্দ্রকে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) উপস্থিত থেকে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রত কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ নিজেদের বক্তব্য জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন। উল্লেখ্য, গত জুন মাসে দিল্লির রোহিণী এলাকা থেকে পুলিশ আটক ধরে সোনালি বিবি সহ ছয় জনকে। বাংলাদেশি সন্দেহে পাকড়াও করা হয় তাঁদের। অভিযোগ করা হয়, অবৈধ উপায়ে ভারতে প্রবেশ করেছেন তাঁরা, কোনও বৈধ নথিপত্র নেই তাঁদের কাছে।

ভারতে ফেরানোর নির্দেশ: এরপরেই অন্তঃসত্ত্বা সোনালি বিবির বাবা দিল্লি হাইকোর্টে দায়ের করেন মামলা। মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টেও (Calcutta High Court)। এই মামলার শুনানিতেই সোনালি বিবি সহ ছয় জনকে বাংলাদেশে ‘পুশব্যাক’ করার কেন্দ্রের নির্দেশকে খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে এক মাসের মধ্যে তাঁদের ভারতে ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে। পালটা অক্টোবরে এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্র।
আরও পড়ুন : মমতার প্রতিশ্রুতি মতো ঢোকেনি ১ লক্ষ ১০ হাজার! দুর্গাপুজোর একমাস পরেও অনুদান থেকে ‘ব্রাত্য’ রাজ্যের ৮ ক্লাব
কী বক্তব্য আইনজীবীর: আদালতের শুনানিতে মামলাকারীদের পক্ষে আইনজীবী দাবি করেন, এঁরা অশিক্ষিত। এতকিছু নথির বিষয়ে তাঁরা জানেন না। বিভ্রান্ত করা হচ্ছে আদালতকে। রাজ্য সরকার সমস্ত প্রমাণ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং দিল্লি পুলিশকে মেল করেছে। অন্যদিকে সোনালি বিবি দাবি করেন, বীরভূমের মুরারই এর বাসিন্দা তাঁরা দীর্ঘদিনের।
আরও পড়ুন : এটাই এনুমারেশন ফর্মের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ, কীভাবে নির্ভুল ভাবে করবেন ফর্ম ফিল আপ? জানাল কমিশন
হাইকোর্টের ডিভিশন (Calcutta High Court) বেঞ্চ এরপর নির্দেশ দেয়, আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা সোনালি বিবি সহ ছয় জনকে ফিরিয়ে আনতে হবে বাংলাদেশ থেকে। ২৪ অক্টোবর নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হয়ে গেলেও তাঁদের ফিরিয়ে আনার কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।












