বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত বড় আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ভারতের সাধারণ মানুষ মুদ্রাস্ফীতি (Inflation) থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে স্বস্তি পেয়েছেন। মূলত, গত অক্টোবরে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার মাত্র ০.২৫ শতাংশে নেমে এসেছে। যা গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এদিকে, গত সেপ্টেম্বরে এই হার ছিল ০.৫৪ শতাংশ। এই নিয়ে টানা ৪ মাস ধরে মুদ্রাস্ফীতি ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ৪ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রার নিচে রয়ে গেছে। পাশাপাশি, টানা ৭ মাস মুদ্রাস্ফীতি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের ৬ শতাংশ সর্বোচ্চ সীমার নিচে রয়ে গেছে।
১০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে মুদ্রাস্ফীতি (Inflation):
খাদ্যদ্রব্যের দামে উল্লেখযোগ্য হ্রাস: জানিয়ে রাখি যে, মুদ্রাস্ফীতির (Inflation) সবচেয়ে বড় কারণ হল খাদ্যবস্তুর দামে ক্রমাগত হ্রাস। বিশেষ করে সবজির দাম গত ৬ মাস ধরে দুই অঙ্কের পতনের সম্মুখীন হচ্ছে। যেহেতু, কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্সে খাদ্যদ্রব্য প্রায় অর্ধেক জুড়ে রয়েছে তাই, খাদ্যদ্রব্যের দামে পতন সামগ্রিকভাবে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বড় প্রভাব ফেলেছে।

GST-র হার কমানোর প্রভাব: বিশেষজ্ঞরা মনে করেছেন যে, GST হার কমানোও এই পতনের পেছনে ভূমিকা রেখেছে। সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর করের হার কমানো হয়েছিল। যার প্রভাব এখন মুদ্রাস্ফীতির (Inflation) পরিসংখ্যানে স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান।
অর্থনীতির বৃদ্ধি ঘটছে, কিন্তু মুদ্রাস্ফীতি ধীরগতির: সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, মুদ্রাস্ফীতি (Inflation) হ্রাস পাওয়া সত্ত্বেও, দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী পর্যায় রয়েছে। এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে ভারতের GDP প্রায় ৮ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর অর্থ হল উৎপাদন এবং ব্যয় বৃদ্ধি সত্ত্বেও, দাম বাড়ছে না। এই কারণেই এখন আশা করা হচ্ছে যে, আগামী মাসে RBI সুদের হার কমাতে পারে, যাতে বৃদ্ধি আরও বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: ২০০-রও বেশি IED, ২৬/১১-র আদলে একাধিক টার্গেটে হামলার ছক! ঠিক কী পরিকল্পনা ছিল জঙ্গিদের?
RBI-এর নতুন পূর্বাভাস এবং ভবিষ্যতের দৃষ্টিভঙ্গি: জানিয়ে রাখি যে, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তাদের সাম্প্রতিক বৈঠকে জানিয়েছে যে, বর্তমান পরিস্থিতি হার কমানোর জন্য অনুকূল। তবে, RBI আপাতত সুদের হার স্থিতিশীল রেখেছে। RBI অনুমান করেছে যে ২০২৬ অর্থবর্ষে মুদ্রাস্ফীতি (Inflation) আরও কমে ২.৬ শতাংশ হতে পারে। যা তার পূর্বের অনুমান ৩.১ শতাংশের চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে কম। এই ত্রৈমাসিক অনুমান ইঙ্গিত দেয় যে মুদ্রাস্ফীতি দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ১.৮ শতাংশ, চতুর্থ ত্রৈমাসিকে ৪ শতাংশ এবং পরবর্তী অর্থবর্ষের প্রথম প্রান্তিকে ৪.৫ শতাংশে পৌঁছতে পারে।
আরও পড়ুন: IPL ২০২৬-এ বদলাবে RCB-র হোম গ্রাউন্ড? এই স্টেডিয়ামের কাছ থেকে বিশেষ অফার পেল কোহলির দল
সতর্কতাও জরুরি: তবে, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক সতর্ক করে দিয়েছে যে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা, বাণিজ্যিক বিঘ্ন এবং আমদানি শুল্কের পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলি ভবিষ্যতের মুদ্রাস্ফীতির (Inflation) প্রবণতাকে প্রভাবিত করতে পারে। RBI গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রা জানিয়েছেন যে, খাদ্যদ্রব্যের দামের তীব্র হ্রাস এবং GST হারের যৌক্তিকীকরণ সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতির পূর্বাভাসকে আরও অনুকূল করে তুলেছে।












