বাংলাহান্ট ডেস্ক: দিল্লির ভয়াবহ বিস্ফোরণের (Delhi Blast) দু’দিন পর ঘটনাটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে জঙ্গি হামলার তকমা দিল কেন্দ্র। বুধবার ভুটান সফর শেষে দেশে ফিরে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে বসেন নরেন্দ্র মোদি। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়, লালকেল্লার সামনে ঘটে যাওয়া বিস্ফোরণ কোনও সাধারণ দুর্ঘটনা নয়, এটি একটি পরিকল্পিত সন্ত্রাসবাদী হামলা। বৈঠক শেষে প্রকাশিত সরকারি বিবৃতিতে কেন্দ্র জানায়, এই হামলা দেশের সার্বভৌমত্ব ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার উপর আঘাত। তাই একে জঙ্গি হামলা হিসেবেই গণ্য করা হবে।
দিল্লি বিস্ফোরণকে (Delhi Blast) জঙ্গি হামলার তকমা কেন্দ্রের
বুধবারের বৈঠকের শুরুতেই বিস্ফোরণে (Delhi Blast) মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দুই মিনিটের নীরবতা পালন করেন প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার সদস্যরা। পরে ক্যাবিনেটের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়, সন্ত্রাসবাদ এবং দেশদ্রোহের বিরুদ্ধে ভারত সরকারের অবস্থান একেবারে স্পষ্ট—‘জিরো টলারেন্স’। লালকেল্লার সামনে যেভাবে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি বিস্ফোরিত হয়েছে, তা যে নিছক কোনও প্রযুক্তিগত ত্রুটি নয়, তা গোয়েন্দা রিপোর্টেই স্পষ্ট। কেন্দ্রের দাবি, হামলার সঙ্গে আন্তর্জাতিক জঙ্গি মডিউলের যোগ পাওয়া গিয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মৃতদের পরিবারের পাশে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে তাঁদের চিকিৎসার সমস্ত খরচ বহন করবে কেন্দ্র। পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এই হামলার পিছনে থাকা জঙ্গি নেটওয়ার্ককে চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে। দিল্লি পুলিশ ও এনআইএ ইতিমধ্যেই যৌথভাবে তদন্ত শুরু করেছে। ক্যাবিনেটের এই সিদ্ধান্তের পর রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে—তাহলে কি ফের শুরু হতে চলেছে ‘অপারেশন সিঁদুর’? উল্লেখ্য, পহেলগাঁও হামলার পর প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছিলেন, ভারতের মাটিতে যে কোনও জঙ্গি হামলাকে সরাসরি দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার সমতুল্য বলে গণ্য করা হবে। সেই সময় চালু হয়েছিল ‘অপারেশন সিঁদুর’, যা পরে সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়। সরকারি ভাবে অপারেশনটির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়নি। ফলে, দিল্লির বিস্ফোরণকে (Delhi Blast) জঙ্গি হামলার তকমা দেওয়ার পর আবারও সেই অভিযান পুনরায় শুরু হতে পারে বলে অনুমান রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই হামলার ধরন এবং ব্যবহৃত বিস্ফোরকের (Delhi Blast) প্রকৃতি থেকে স্পষ্ট, এটি একটি সংগঠিত জঙ্গি নেটওয়ার্কের কাজ। হামলার সময় ও স্থান নির্বাচন ছিল অত্যন্ত কৌশলগত। লালকেল্লা সংলগ্ন এলাকা আন্তর্জাতিক পর্যটনের অন্যতম কেন্দ্র, সেখানে হামলা চালিয়ে ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে দুর্বল প্রমাণ করার চেষ্টা করেছে জঙ্গিরা।

আরও পড়ুন:টাটা গ্রুপের এই কোম্পানির ৪ গুণ বাড়ল মুনাফা! শেয়ারে থাকবে বিনিয়োগকারীদের নজর
প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বলেন, “ভারত সন্ত্রাসের সামনে মাথা নোয়াবে না। দেশের প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই সরকারের প্রথম দায়িত্ব।” এই মন্তব্যের পর গোটা দেশের প্রশাসন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সর্বোচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে। দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা, বেঙ্গালুরু—সহ দেশের সব প্রধান শহরে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে (Delhi Blast)।
এই ঘটনার জেরে শুধু রাজধানী নয়, সীমান্ত এলাকাতেও নজরদারি আরও কঠোর করা হয়েছে। গোয়েন্দারা আশঙ্কা করছেন, এই বিস্ফোরণ (Delhi Blast) কোনও বৃহত্তর জঙ্গি পরিকল্পনার প্রথম ধাপ হতে পারে। তাই কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটের এই সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতের নিরাপত্তা নীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করা হচ্ছে।












