বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সবার জন্য স্বাস্থ্যবিমা (Mediclaim) দিতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি নাগরিক যেন ‘মেডিক্লেম’-এর আওতায় আসে, সেটাই এখন কেন্দ্রের লক্ষ্য। কিন্তু এই লক্ষ্য পূরণে অনেক বাধা তৈরি হচ্ছে। মানুষের মধ্যে বিমা নিয়ে বিশ্বাস কমছে। আগের প্রজন্ম বিমা নিয়ে ততটা ভাবতেন না। কিন্তু আজকের দিনে দাঁড়িয়ে চিকিৎসার খরচ অনেক বেড়ে গেছে, তবুও বিমা নিয়ে সন্দেহ বাড়ছে নতুন প্রজন্মের মধ্যে।
বিমা (Mediclaim) ক্লেমের সময় অজুহাত, ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে গ্রাহকদের মধ্যে
বিমা (Mediclaim) সংস্থাগুলি পলিসি বিক্রির সময় বলে, ওরা ৯৯ শতাংশ ক্লেম পাস করে। কিন্তু যখন ক্লেম দিতে হয়, তখন শুরু হয় নানা অজুহাত। কখনও বলে কাগজ ঠিক নেই, কখনও বলে তদন্ত দরকার। ফলে গ্রাহকদের ভরসা কমছে। অনেকেই মনে করেন, বিমা সংস্থাগুলো বিক্রির সময় একরকম আচরণ করে, আর ক্লেমের সময় পুরো বদলে যায়।
অন্য আরও একটি সমস্যা হল, পুরনো পলিসিতে বারবার শর্ত বদল। অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ ফিচার তুলে নেওয়া হয়। ছোট হরফে লেখা নিয়মগুলো না পড়লে পরে বিপদে পড়েন গ্রাহক। এইভাবে বিভ্রান্তি বাড়ে, আর মানুষ ভাবে বিমা মানেই ঝামেলা।
অভিযোগ করলেই শুরু হয় জটিলতা
যদি গ্রাহক ভুল করেন, পলিসি (Mediclaim) বাতিল হয়। কিন্তু সংস্থা ভুল করলেও ভোগেন গ্রাহকই। অভিযোগ জানাতে গেলে লেগে যায় অনেক সময়। অনেকেই মাঝপথে হাল ছেড়ে দেন। ২০২৩-২৪ সালের ইন্স্যুরেন্স ন্যায়পাল রিপোর্ট বলছে, অর্ধেকের বেশি অভিযোগে রায় গেছে গ্রাহকের পক্ষেই। অর্থাৎ, সংস্থাগুলি জানে কোন দাবিগুলি ন্যায্য, কিন্তু তবুও ক্লেম আটকে রাখে।
গ্রাহকের আস্থা ফেরাতে কী করতে হবে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্রাহকের আস্থা ফেরাতে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার। এর জন্য কয়েকটি পদক্ষেপের কথা জানানো হয়েছে। সেগুলি হল –
- ‘মোরাটোরিয়াম ধারা’ আরও শক্ত করতে হবে, যাতে পাঁচ বছরের পুরনো ক্লেমে তদন্ত না হয়।
- ব্যাঙ্কের মতো বিমাতেও গ্রাহকের রেকর্ড রাখার কেন্দ্রীয় ব্যবস্থা দরকার।
- দেশে মাত্র ১৭টি ইন্স্যুরেন্স ন্যায়পাল অফিস আছে। এই সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে।

যদি স্বচ্ছতা আনা যায়, তাহলে হয়তো ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘সবার জন্য স্বাস্থ্যবিমা’-র (Mediclaim) লক্ষ্য পূরণ সম্ভব।












