বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দিল্লির লালকেল্লার কাছে ভয়াবহ গাড়ি বিস্ফোরণের পরই দেশের একাধিক জায়গায় জারি হয়েছে কড়া সতর্কতা। ঘটনার পর থেকেই দেশজুড়ে চলছে তল্লাশি। এর মধ্যেই এক বিস্ফোরক অভিযোগ প্রকাশ্যে আনলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
সোমবারের ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১২ জনের। ঘটনাস্থলে উদ্ধার হয়েছে বিস্ফোরক ও দাহ্য পদার্থ। দিল্লি পুলিশ ও এনআইএ যৌথভাবে তদন্ত শুরু করেছে। সারা দেশ জুড়েই জারি হয়েছে সতর্কতা। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গেও পৌঁছেছে এনআইএ-র একটি বিশেষ টিম। বুধবার মুর্শিদাবাদের নবগ্রামে এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
কী জানিয়েছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?
বৃহস্পতিবার কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) জানান, “গত মঙ্গলবার পাকিস্তান থেকে ফোন এসেছে আমার কাছে। এছাড়া বাংলাদেশ থেকেও প্রায় প্রতিদিনই হুমকি ফোন আসে।” তবে এ বিষয়ে তিনি কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি তিনি। শুভেন্দুর বলেছেন, বিষয়টি তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানিয়েছেন তিনি।
শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “এ রাজ্যে জঙ্গিরা নিরাপদ জায়গা মনে করে বলেই এখানে হামলা হয় না। মুর্শিদাবাদ তো ওদের ঘাঁটি। আনসারুল্লাহ বাংলা টিম ধরা পড়েছিল ওখানেই। মাদ্রাসা খুলে দেড় বছর ধরে চালিয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ওদের ছড়াছড়ি।”
খাগড়াগড় থেকে লালকেল্লা, আবারও নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
দিল্লির বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) খাগড়াগড় বিস্ফোরণের কথাও মনে করিয়ে দেন। তিনি দাবি জানিয়ে বলেন, “খাগড়াগড়ের ঘটনা ভুলে গেলে চলবে না। রাজ্যে সেই সময়ও তৃণমূলের নরম নীতি জঙ্গিদের সাহস জুগিয়েছিল। আজও তারই ফল।”
এদিকে দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডের পর গ্রেপ্তার হয়েছেন শাহিন নামে এক মহিলা চিকিৎসক। সূত্রের খবর, আরও দু’জনের খোঁজ চলছে, যারা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে পাশ করে বর্তমানে কাশ্মীরের অনন্তনাগ ও শ্রীনগরে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত। কিন্তু তদন্তে জানা গিয়েছে, তাঁরা আসলে জইশ-ই-মহম্মদের হয়ে কাজ করছিলেন। ওই দুই চিকিৎসকের খোঁজে এখন হন্যে হয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে গোয়েন্দারা।

আরও পড়ুনঃ বিধায়ক পদ হারালেন মুকুল রায়! দলত্যাগবিরোধী আইনে ঐতিহাসিক রায় দিল হাই কোর্ট
প্রসঙ্গত, দিল্লির বিস্ফোরণের পর থেকে গোটা দেশজুড়ে জারি রয়েছে উচ্চ সতর্কতা। কলকাতা পুলিশও শহরে একাধিক নাকা চেকিং ও নজরদারি চালাচ্ছে। নিরাপত্তা সংস্থার দাবি, জঙ্গিগোষ্ঠীর একাধিক সক্রিয় স্লিপার সেল এখনও চিহ্নিত হয়নি। অন্যদিকে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) হুমকি ফোনের বিষয়টি নিয়েও তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।












