পাত্তাই পেল না ট্রাম্পের শুল্ক ঝটকা! গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়ে হু হু করে এগিয়ে চলেছে ভারতের অর্থনীতি

Published on:

Published on:

Economy of India is now steadily moving forward.
Follow

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে বিশ্বজুড়ে অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দিলেও, ভারতের (India) গতি শক্তিশালীভাবে বজায় থাকবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। বিখ্যাত রেটিং এজেন্সি মুডি’স তার “গ্লোবাল ম্যাক্রো আউটলুক ২০২৬-২৭” রিপোর্টে এমন তথ্য প্রকাশ করেছে, যা ভারতের জন্য উল্লেখযোগ্য সুসংবাদ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এগিয়ে চলেছে ভারতের (India) অর্থনীতি:

রিপোর্টে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, আগামী ২ বছর (২০২৭ সাল পর্যন্ত) ভারত (India) জি-২০ দেশগুলির মধ্যে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি হিসেবে বিবেচিত হবে এবং বৃদ্ধির হার ৬.৫ শতাংশ হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এমনকি, আমেরিকার আরোপিত ভারি শুল্কের ঝড়ও ভারতের অগ্রগতি থামাতে পারেনি।

Economy of India is now steadily moving forward.

ভারতের এগিয়ে চলার রহস্য কী: মুডি’স-এর মতে, ভারত (India) বর্তমানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভালো জায়গায় রয়েছে। দেশে শক্তিশালী পরিকাঠামো বিনিয়োগ, বাজারে গ্রাহকদের বিশাল চাহিদা এবং রফতানির বৈচিত্র্য ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, আমেরিকা যখন কিছু ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত উচ্চ শুল্ক আরোপ করেছিল, তখন ভারতীয় রফতানিকারীরা বুদ্ধিমানের সঙ্গে নতুন বাজার খুঁজতে থাকে। যদিও আমেরিকায় পণ্যের চালান ১১.৯ শতাংশ কমেছে, কিন্তু সেপ্টেম্বরে ভারতের মোট রফতানি ৬.৭৫% বৃদ্ধি পেয়েছে। যার অর্থ ভারতীয় অর্থনীতি আর আগের মতো কোনও একটি দেশের ওপর নির্ভরশীল নেই।

আরও পড়ুন: ভুলে যাবেন Fixed Deposit! এই ৫ টি স্কিমে বিনিয়োগ করলেই আর নেই চিন্তা, হবে টাকার বৃষ্টি

RBI-র স্থিতিশীল পদক্ষেপ: জানিয়ে রাখি যে, দেশের (India) অভ্যন্তরীণ নীতিগুলিও এই অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। মুডি’স জানিয়েছে যে, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তথা RBI-র আর্থিক নীতি স্থিতিশীল রয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাই, RBI অক্টোবরেও রেপো রেট পরিবর্তন করেনি। যা বৃদ্ধির জন্য একটি ভালো পরিবেশ তৈরি করে।

আরও পড়ুন: চমকের পর চমক! এবার KKR-এ বড় দায়িত্ব পেলেন শেন ওয়াটসন, অবাক অনুরাগীরাও

এছাড়াও, ভারতে (India) বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা আরও দৃঢ় হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ক্যাপিটাল ইনফ্লো দেশটিকে যেকোনও বহিরাগত ধাক্কা সামলাতে এবং বাজারে লিকুইডিটি বজায় রাখতে সাহায্য করছে। তবে, রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে অভ্যন্তরীণ চাহিদা শক্তিশালী হলেও, বেসরকারি সেক্টর এখনও বড় আকারের নতুন বিনিয়োগ করতে কিছুটা দ্বিধার মধ্যে রয়েছে।