বাংলাহান্ট ডেস্ক : লক্ষী পুজোর দুদিন পর থেকে কালীপুজোর আগে পর্যন্ত এ বছর খোলা থাকবে রাজ্যের প্রায় পঞ্চাশ হাজার প্রাথমিক স্কুল। অর্থাৎ চলতি বছর পুজোর পর প্রাথমিক স্কুল খোলা থাকবে ১৯ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত। অন্যদিকে সূত্রের খবর এই সময়টাতে বন্ধ থাকবে ৯৯৯১ টি মাধ্যমিক ও ৬৭৭১টি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল।
এই হিসাবে দেখা যাচ্ছে উঁচু শ্রেণীর পড়ুয়াদের থেকে নিচু শ্রেণীর পড়ুয়ারা চলতি শিক্ষাবর্ষে পেয়ে যাচ্ছে অতিরিক্ত ক্লাস। এমনকি খবর সেমিস্টারের জন্যও ব্যাহত হতে পারে উঁচু ক্লাসের পঠনপাঠন। অনেকেই মনে করছেন এভাবে যদি ক্রমাগত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের ক্লাসের সংখ্যা কমে যায় তাহলে তার প্রভাব পড়তে পারে পড়ুয়াদের উপর।
আরোও পড়ুন : গরমে হাসফাঁস অবস্থা আমজনতার! কাল থেকেই তাপমাত্রা ছাড়াবে ৪২, এই জেলাগুলোয় হাই অ্যালার্ট
এই বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন অভিভাবকরা। অনেকেই বলছেন ছুটি থাকা মানেই যে উঁচু ক্লাসের পড়ুয়ারা বাড়িতে অতিরিক্ত পড়াশোনা করবেন এমনটা নয়। অনেকেই ব্যস্ত হয়ে যাবেন মোবাইল-কম্পিউটারে। স্কুলে গেলে অন্তত মোবাইলের আসক্তি থেকে কিছুটা হলেও নিস্তার পাওয়া যায়।
আরোও পড়ুন : ‘কার’ লাভারদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ! মিলবে প্রচুর ছাড়, এবার জলের দরে ঘরে আসবে মারুতির এই গাড়িগুলো
পাশাপাশি শিক্ষক মহলের একাংশের দাবি, পূজোর সময় পড়ুয়ারা ছুটি কাটাবে এটা খুবই স্বাভাবিক। তবে তার সাথে মাথায় রাখতে হবে পড়াশোনার বিষয়টি। এভাবে দিনের পর দিন যদি ছুটি থাকে তাহলে অনেক পড়ুয়া পড়াশোনা থেকে দূরে চলে যাবেন। যার প্রভাব পড়বে তাদের ভবিষ্যতে। তাই অনেক শিক্ষক দাবি জানিয়েছেন, লক্ষ্মী পুজোর পর ও কালীপুজোর আগে যাতে স্কুল খোলা রাখা হয়।
এর ফলে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীরাও কিছুটা উপকৃত হবেন। এভাবে একটানা ছুটি থাকলে পড়ুয়াদের পড়াশোনার ক্ষতি হতে পারে বলে মনে করছেন অনেক অভিভাবক। লোকসভা নির্বাচনের জন্য এবার টানা ২২ দিন গরমের ছুটি দেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্কুলগুলিতে ঘোষণা করা হয়েছে প্রায় একই রকম ছুটির।