বাংলা হান্ট ডেস্ক: আরও একবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কাম ব্যাক করতে চলেছে নির্দেশ কুমার নাকি তেজস্বী অভিষেক তা নিয়ে চাপানোর তোর লেগেই রয়েছে বিহারে। কারণ এটাই এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন। ইতিমধ্যে জোর কদমে গণনা শুরু হয়ে গিয়েছে (Bihar Elections)। এখন দেখার বিষয় কার কপালে উঠতে চলেছে বিজয়ের তিলক।
বিহারে রাজনীতি উত্তপ্ত! নীতীশ না তেজস্বী ভবিষ্যৎ গড়বে কে? (Bihar Elections)
ইতিমধ্যে বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলে ((Bihar Elections) উত্তেজিত হয়ে রয়েছে এনডিএ। আপাতত জয়ী হওয়ার প্রহার গুনছে। যদিও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে এখানে তিনটি ফ্যাক্টর সব থেকে বেশি কাজ করতে হবে। আর সেই গুলো হল- সোশ্যাল অ্যারিথমেটিক, মহিলাদের জন্য উন্নয়নমূলক প্রকল্প , নীতীশ কুমার ফ্যাক্টর। আর এই সমস্যাগুলো কাজ করলে পরে দশম বারের মতন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন নীতীশ কুমার।

আরও পড়ুন: পালংশাক দ্রুত নষ্ট হচ্ছে? এই ঘরোয়া কায়দায় সপ্তাহজুড়ে থাকবে একদম টাটকা!
তবে অন্যদিকে জোর টক্কর দিয়েছে আরজেডি নেতৃত্বের সাতটি দলের মহাগঠবন্ধন অর্থাৎ এমজিবি। যদিও এই ভোটের আগে প্রচারে তাদের ভরকেন্দ্র ছিল পরিবর্তন ও কর্মসংস্থান। আর এর বাইরে জোটের অন্যতম ভরসা ছিল তেজস্বী যাদব। তবে অন্যদিকে বিহারে নিতিশ কুমার কুড়ি বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছেন। যার ফলে সে জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বীই। তবে এইসবের পরও থাকছে জাত পাতের অঙ্ক।
https://www.youtube.com/live/yuHWj6492hc?si=7iyujH_xvsRgcbD7
কিন্তু গত কয়েক বছরে যেইভাবে মুসলিম যাদব ফ্যাক্টর এর বাইরে আর যেটির অন্য পিছিয়ে পড়া শ্রেণী ও অতি পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর মধ্যে কতটা প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছে তা প্রতিটি ঘরে অন্তর এপ্রিল চাকরির যে প্রতিশ্রুতি তা কিনা ভাবে যুব সমাজ নিয়েছে এবং মহিলারা কতটা তেজস্বীকা ভরসা করছে সেটি এখন দেখার বিষয়।
তবে বিহারের এবারের ভোটদানের হার ইতিমধ্যে চর্চার কেন্দ্রে রয়েছে। এখনো পর্যন্ত বিহারে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে তার মধ্যে কোন বার এত মানুষের ভোট দেয়নি। ভোটদানের হার বেশি হলে সাধারণ মানুষ হিসেবে তা প্রতিষ্ঠান বিরোধীরা হিসেবে ও পরিবর্তনের পক্ষ বলে ধরে নেওয়া হয়। যদি এর ব্যতিক্রম ও অনেকবারই হয়েছে। তবে প্রশ্ন এখন একটাই এই যে বিপুল ভোট কি আদতে সার (SIR) এর নাম করে তড়িঘড়ি বহু মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রতিবাদে। তবে নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে, বিহারে প্রথম দফায় ভোট দিয়েছেন ৬৫.০৮ শতাংশ এবং দ্বিতীয় দফায় ভোট দিয়েছেন ৬৮.৭৬ শতাংশ। দু’দফা মিলিয়ে বিহারে মোট ভোটদানের হার ৬৬.৯১ শতাংশ। যা গতবারের তুলনায় ৯.৬২ শতাংশ বেশি! ঐতিহ্য বজায় রেখে এ বারেও বিহারে পুরুষদের অনুপাতে মহিলারা বেশি সংখ্যায় ভোট দিয়েছেন। প্রায় ৭১.৬ শতাংশ।
তবে আজ যে পক্ষই ক্ষমতায় আসুক না কেন, এবারে বিহারের ভোটের বিষয়গুলো গুরুত্বের কোন অংশেই এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। কারণ বেকার সমস্যা থেকে শুরু করে আইন-শৃঙ্খলের সমস্যা, কাজের খোঁজে দলে দলে মানুষের বিহার ছেড়ে ভিন্ন রাজ্যে কাজের খোঁজ করা প্রমূখ সবগুলোই ভোটার আগে উল্লেখযোগ্য কারণ ছিল। যদিও বিহারের ভোট (Bihar Elections) চুরি প্রমাণ দিয়ে এর আগে অভিযোগ তুলেছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। তবে সেটা কতটা প্রভাব ফেলেছে তাও স্পষ্টভাবে বোঝা যাবে।












