আবারও থমকে গেল DA মামলা! রায় কবে? চিন্তায় লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মী

Published on:

Published on:

Bengal Dearness Allowance Case Stuck Again
Follow

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছরের শেষ প্রান্তে এসে এখনও অনিশ্চিত বাংলার সরকারি কর্মীদের বহুল আলোচিত ডিএ (Dearness Allowance) মামলার রায়। পঞ্চম পে কমিশনের অধীনে বকেয়া ডিএ আদায়ের লড়াই দীর্ঘদিনের। কয়েক মাস ধরেই প্রত্যাশা ছিল চূড়ান্ত রায়দানের। কিন্তু নভেম্বর মাঝামাঝি এসেও সেই রায় যে মিলছে না, তা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে উঠল কর্মচারী সংগঠনের তৎপরতায়।

বেঞ্চে নেই রায়ের (Dearness Allowance) বার্তা, বাড়ল দুশ্চিন্তা

সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনের নেতা মলয় মুখোপাধ্যায় নিজের ফেসবুক পোস্টে জানান, ১২ ও ১৩ নভেম্বর বিচারপতি সঞ্জয় কারোল এবং পি কে মিশ্রের বেঞ্চ বসলেও সাপ্লিমেন্টারি কজ লিস্টে ডিএ (Dearness Allowance) মামলার রায় সংক্রান্ত কোনও উল্লেখ নেই। ফলে রায় কবে ঘোষণা করা হবে, তা এই মুহূর্তে জানার উপায় নেই। আর এই অনিশ্চয়তাই ফের আলোচনার কেন্দ্রে বিষয়টি।

বিচারপতির অবসরের আগে কি রায়? উঠছে নতুন প্রশ্ন

মলয়ের পোস্টের পরেই কমেন্ট বক্সে কর্মচারীদের ক্ষোভ উপচে পড়ে। একজন মন্তব্য করেন, যাঁদের রায় দেওয়ার কথা, তাঁরা সম্ভবত অবসরে চলে যাবেন রায় ঘোষণার আগেই। তাহলে নতুন বেঞ্চ গঠন করে আবার শুনানি শুরু করতে হবে, যা সময় আরও বাড়াবে। এই আশঙ্কা সরকারি মহলে নতুন করে দুশ্চিন্তা সৃষ্টি করেছে।

অন্য এক কর্মচারী ক্ষোভ উগরে দিয়ে লেখেন, আদালতের আশায় থাকলে হবে না, কর্মচারী ও অবসরপ্রাপ্তদের রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে হবে। তিনিই দাবি করেন, এটাই একমাত্র পথ হতে পারে ডিএ (Dearness Allowance) আদায়ের। এই মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য তৈরি করেছে।

রায় ভোটের পর? নতুন জল্পনা

একাংশ আবার দাবি করছেন, ২০২৬ সালের ভোটের পরেই এই মামলার রায় প্রকাশ পাবে। কেউ কেউ বলছেন, চোরেরা দ্রুত জামিন পেয়ে বেরিয়ে আসছে, আদালতের রায় হচ্ছে দ্রুত; কিন্তু সাধারণ কর্মচারীর ডিএ (Dearness Allowance) মামলায় কেন এত দেরি? এই প্রশ্নেও সোশ্যাল মিডিয়া উত্তাল।

Bengal Dearness Allowance Case Stuck Again

আরও পড়ুনঃ ভোটগণনা শুরু হতেই চমক! এনডিএ-র দাপটেও বামেদের দখলে একাধিক আসন

উল্লেখ্য, বছর শেষ হতে আর কয়েক সপ্তাহ বাকি। তবু কর্মচারীদের আকাঙ্ক্ষিত ডিএ (Dearness Allowance) রায়ের কোনও ইঙ্গিত নেই। পে কমিশনের আওতায় বহু বছর ধরে ঝুলে থাকা এই মামলার ভবিষ্যৎ কোন দিকে, তা নিয়েও ধোঁয়াশা আরও বাড়ছে।