বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শনিবার ভোররাতে ভয়াবহ আগুনে দাউ দাউ করে জ্বলে উঠল কলকাতার এজরা স্ট্রিট। একের পর এক বৈদ্যুতিক যন্ত্রের বিস্ফোরণে আগুন ছড়াতে শুরু করে এলাকা জুড়ে। ঘটনার স্থলে একাধিক দমকল ইঞ্জিন এসেও মুহূর্তে আগুন নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়নি। অনেকক্ষণ পরে আগুন নিয়ন্ত্রনে এলেও অধিকাংশ ক্ষয়ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) এবং দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু।
এলাকা ঘুরে দেখে কী বললেন মেয়র (Firhad Hakim)?
ঘটনার পর এলাকাটি ঘুরে দেখে মেয়র (Firhad Hakim) জানান, বহুতলের ভিতরে অগোছালো বৈদ্যুতিন তারের জট লক্ষ্য করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, সিইএসসি, দমকল, ব্যবসায়ী সমিতি, পুরসভা এবং পুলিশের প্রতিনিধিদের নিয়ে আগামী সপ্তাহে বৈঠক ডাকা হবে।
জানা যায়, ওই বহুতল বহু পুরনো এবং ইতিমধ্যেই অন্তত ২২ বার আগুন লেগেছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় কাউন্সিলর সন্তোষ পাঠক। তিনি অভিযোগ করেন, “এটা ঘিঞ্জি এলাকা। আগুনের ঝুঁকির কথা বহুবার জানিয়েছি। দমকল, পুলিশ কমিশনার, কাউকেই বলিনি এমন নয়। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।” তিনি জানান, সমস্ত অভিযোগপত্র তাঁর কাছে রয়েছে।
যদিও এই অভিযোগ সরাসরি উড়িয়ে দিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। তাঁর বক্তব্য, পুরসভার বিল্ডিং বিভাগ পরীক্ষা না করা পর্যন্ত বহুতলে বেআইনি নির্মাণ হয়েছে কিনা বলা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, “হতে পারে বেআইনি, হতে পারে আইনি। কিন্তু আগে বিল্ডিং ডিপার্টমেন্ট দেখে রিপোর্ট দেবে, তারপরই সিদ্ধান্ত হবে। প্রমাণ মিললে বেআইনি অংশ অবশ্যই ভেঙে ফেলা হবে।”
অগ্নিকাণ্ডে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁদের আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে কিনা সেই প্রশ্নে মেয়র (Firhad Hakim) জানান, ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে বৈঠকে ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখা হবে। তারপরই সিদ্ধান্ত নেবে পুরসভা বা রাজ্য সরকার। আগুন লাগার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর বক্তব্য, ফরেনসিক রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না। একই সঙ্গে তিনি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দেন, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাকে অবহেলা না করতে।

আরও পড়ুনঃ ‘উল্টো গোনা শুরু করুন’, ডায়মন্ড হারবারের রক্তক্ষয়ী হামলায় তৃণমূলকে সতর্ক সুকান্তর
শহরে সাম্প্রতিককালে একের পর এক অগ্নিকাণ্ডে উদ্বেগ বাড়ছে। বারবার এমন ঘিঞ্জি ও নাজুক বহুতলে আগুন লাগার ঘটনা শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে নতুন করে প্রশ্নের মুখে পড়েছে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) জানিয়েছেন, বড়বাজারের ব্যবসায়ীরা যাতে নির্বিঘ্নে ব্যবসা করতে পারেন এবং কোনও সমস্যায় না পড়তে হয় সে বিষয়ে নজর দেওয়া হবে।












