বাংলাহান্ট ডেস্ক: বিহার নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর দেশের কৃষকদের বড় উপহার—পিএম-কিসান সম্মান নিধি (Pradhan Mantri Kisan Samman Nidhi) প্রকল্পের পরবর্তী কিস্তির কথা ঘোষণা করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রকের ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ১৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী পিএম-কিষান সম্মান নিধি প্রকল্পের ২১তম কিস্তি দেশের কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে। পিএম-কিষান প্রকল্প অনুযায়ী, দেশের সমস্ত যোগ্য কৃষক পরিবারকে বছরে মোট ৬,০০০ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়, যা তিন কিস্তিতে বিতরণ করা হয়। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় প্রকল্প হিসেবে চালু হওয়া এই স্কিম ইতিমধ্যেই দেশের কৃষকদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে।
পিএম কিষান সম্মান নিধি (Pradhan Mantri Kisan Samman Nidhi) প্রকল্পের পরবর্তী কিস্তির ঘোষণা:
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত দেশে ১১ কোটিরও বেশি কৃষক পরিবারকে ২০টি কিস্তির মাধ্যমে ৩.৭০ লক্ষ কোটি টাকার বেশি সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এই অর্থ কৃষকদের চাষাবাদের প্রয়োজনীয় উপকরণ কেনা ছাড়াও শিক্ষা, চিকিৎসা এবং পরিবারের অন্যান্য জরুরি খরচে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। যেসব কৃষকের জমির নথিপত্র পিএম-কিসান (Pradhan Mantri Kisan Samman Nidhi) পোর্টালে নিবন্ধিত রয়েছে এবং যাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আধারের সঙ্গে যুক্ত, তারাই এই প্রকল্পের সুবিধাভোগী।
কেন্দ্রীয় সরকার নিয়মিত বিভিন্ন বিশেষ অভিযান চালিয়েছে যাতে প্রতিটি যোগ্য কৃষককে প্রকল্পের আওতায় আনা যায়। গ্রাম পর্যায়ে ‘সন্তৃপ্তি অভিযান’-এর মাধ্যমে চাষযোগ্য জমির মালিকদের চিহ্নিত করে তাঁদের নাম পিএম-কিসান রেজিস্ট্রিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া, প্রকল্পের প্রভাব মূল্যায়নে ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক খাদ্য ও নীতি গবেষণা সংস্থা (IFPRI) একটি সমীক্ষা চালায়, যেখানে স্পষ্টভাবে উঠে আসে যে পিএম-কিসান পরিকল্পনার আর্থিক সহায়তা গ্রামীণ অর্থনীতির গতিকে বাড়িয়েছে, কৃষকদের ঋণ নির্ভরতা কমিয়েছে এবং কৃষিতে বিনিয়োগ বাড়াতে সাহায্য করেছে।
কৃষিমন্ত্রক জানিয়েছে, পিএম-কিসান প্রকল্পে শেষ প্রান্তের কৃষকদের কাছে পৌঁছনোই অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। সেই উদ্দেশ্যেই শুরু হয়েছে ‘কিষাণ রেজিস্ট্রি’ তৈরি করার উদ্যোগ। এই নতুন ডেটাবেস তৈরি হলে কৃষকদের বারবার জটিল প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে না, বরং একটিমাত্র সুসংহত রেজিস্ট্রির ভিত্তিতেই তারা বিভিন্ন সামাজিক কল্যাণমূলক প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারবেন।

আরও পড়ুন:অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীরা পাবেন না বর্ধিত DA-র সুবিধা? জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সামনে এল আসল সত্যি
২১তম কিস্তি পৌঁছনোর মাধ্যমে কেন্দ্র আশা করছে যে আরও একবার দেশের কৃষকদের আর্থিক স্বস্তি মিলবে এবং কৃষি উৎপাদন ও সামগ্রিক গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।












