বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পুরুলিয়া-১ পঞ্চায়েতের টামনা থানার অন্তর্গত এলাকায় ঘটে গেল প্রায় নজিরবিহীন একটি ঘটনা। কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে কবর দেওয়া এক মৃতদেহ পুলিশ তুলে অন্যত্র সরিয়ে দেয়। শনিবার হাইকোর্ট নিযুক্ত স্পেশাল অফিসারের উপস্থিতিতে পুলিশ এই নির্দেশ দিলে এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
কী দাবি ছিল মামলাকারীদের?
অভিযোগ দীর্ঘদিনের। স্থানীয়দের দাবি, যে জমিটি নিয়ে এত বিতর্ক তা প্রায় দু’শো বছর ধরে গোরস্থান হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। সেই জমিতে সম্প্রতি কবর দেওয়ার পরই সমস্যা তৈরি হয়। আদালতে মামলাকারীদের দাবি, ওই জমিটি বর্তমানে একটি আশ্রমের নামে কেনা হয়েছে। তবুও সেখানে কবর দেওয়ার প্রথা চলছে।
কী নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট (Calcutta High Court)?
হাই কোর্ট (Calcutta High Court) নথিপত্র খতিয়ে দেখে নির্দেশ দেয়, পুরুলিয়ার পুলিশ সুপারের পর্যবেক্ষণে টামনা থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযোগ সত্য হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবেন। কিন্তু প্রথম দফায় এই নির্দেশ বাস্তবায়িত হয়নি। কারণ, তখন আশঙ্কা করা হয় এলাকায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে। এরপর ফের মামলা হয় আদালতে।
এরপর বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের এজলাসে আইনজীবী সূর্যনীল দাস দাবি করেন, নির্দিষ্ট সময় বেঁধে স্পেশাল অফিসার নিয়োগ করে মৃতদেহ সরানোর নির্দেশ দেওয়া হোক। আদালত (Calcutta High Court) সেই নির্দেশই দেন। শনিবার সেই নির্দেশ অনুযায়ী স্পেশাল অফিসার ও পুলিশ গিয়ে দেহ উত্তোলন ও স্থানান্তরের কাজ সম্পন্ন করে।

আরও পড়ুনঃ ‘রাজভবনে বন্দুক-বোমা!’ কল্যাণের বিস্ফোরক অভিযোগে কড়া পদক্ষেপ নিলেন রাজ্যপাল
তবে স্থানীয়দের একাংশের দাবি ভিন্ন। তাঁদের বক্তব্য, বহু বছর আগে ওই জমির মালিক নিজেই গোরস্থানের জন্য জমিটি দান করেছিলেন। এমনকি রাজ্য সরকারের তরফে গোরস্থান সংক্রান্ত পরিকাঠামো তৈরির জন্য বরাদ্দ অর্থও আসে। তার মাঝেই হঠাৎ জানানো হয় যে, কোনও একটি আশ্রম জমিটি কিনেছে। গ্রামের মানুষ প্রয়োজনীয় নথি আদালতে (Calcutta High Court) পেশ করতে না পারায় বিচারালয় দেহ সরানোর নির্দেশ দেয় বলে দাবি স্থানীয়দের।এই ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।












