বাংলাহান্ট ডেস্ক: ছত্তিসগড়ের (Chattisgarh) সুকমা জেলায় ফের মাওবাদী বিরোধী অভিযানে বড়সড় সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। তুমালপাড় গ্রামের কাছে জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা মাওবাদীদের ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে গুলির লড়াইয়ে তিন মাওবাদীকে খতম করেছে পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীরা। মৃতদের মধ্যে দু’জন মহিলা। তিন জনেরই মাথার দাম ছিল ৫ লক্ষ টাকা করে। সুকমার পুলিশ সুপার কিরণ চহ্বান জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে খবর আসে যে ওই এলাকায় মাওবাদীদের একটি দল আশ্রয় নিয়েছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এবং অন্যান্য বাহিনীর যৌথ দল অভিযান চালায়। নিরাপত্তারক্ষীরা জঙ্গলে পৌঁছতেই মাওবাদীরা গুলি চালানো শুরু করে। পাল্টা জবাব দেয় বাহিনী। প্রায় কয়েক মিনিট ধরে গুলির লড়াই চলে। পরে ঘটনাস্থল থেকে তিন মাওবাদীর দেহ উদ্ধার হয় এবং একাধিক আগ্নেয়াস্ত্রও পাওয়া যায়।
ফের ছত্তিশগড়ে (Chattisgarh) খতম ৩ জঙ্গি
ছত্তিশগড় (Chattisgarh) পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে রয়েছে কোনটা এরিয়া কমিটির সদস্য তথা মিলিশিয়া কমান্ডার মাড়ভি দেবা। সঙ্গে মৃত দুই মহিলা মাওবাদী পোডিয়াম গঙ্গি (কোনটা এরিয়া কমিটি) এবং সোড়ি গঙ্গি (কিস্তারাম এরিয়া কমিটি)। তিন জনেরই মাথার দাম ছিল ৫ লক্ষ টাকা করে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি .৩০৩ রাইফেল, ব্যারেল গ্রেনেড লঞ্চার, আরও কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র ও প্রচুর গুলি। পুরো এলাকায় এখনও তল্লাশি চলছে, আরও মাওবাদী লুকিয়ে আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে ডিআরজি।
এর কয়েক দিন আগেই মাওবাদী দমনে বড় সাফল্য পেয়েছিল নিরাপত্তা বাহিনী। ১১ নভেম্বর ছত্তিশগড়ের (Chattisgarh) বিজাপুর জেলায় গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় ছ’জন মাওবাদীর। তাদের মোট মাথার দাম ছিল ২৭ লক্ষ টাকা। ইন্দ্রাবতী ন্যাশনাল পার্কের কন্দুলনর ও কাচলারাম গ্রামের কাছে সংঘর্ষে খতম হয় ওই মাওবাদীরা।

আরও পড়ুন: মানবদেহে মিলল বার্ড ফ্লুর নতুন H5N5 স্ট্রেইন, নতুন বছরে ফের নতুন মহামারী?
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক আগামী বছরের মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদী কার্যকলাপ পুরোপুরি নির্মূল করার লক্ষ্য নিয়েছে। লাগাতার অপারেশনে ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়ছে মাওবাদীরা। বহু জঙ্গিই আত্মসমর্পণ করেছে, আবার গুলির লড়াইয়ে নিহতও হয়েছে বেশ কিছু সদস্য। বস্তার রেঞ্জের আইজি পি সুন্দররাজ জানিয়েছেন, অস্ত্র ফেলে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসা ছাড়া মাওবাদীদের সামনে আর কোনও পথ খোলা নেই।












