বাংলাহান্ট ডেস্ক : ফের বেফাঁস আসানসোলের তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা (Shatrughan Sinha)। সম্প্রতি বিহার নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছেন আরজেডি নেতা নীতিশ কুমার। বিজেপির শরিক হওয়া সত্ত্বেও নীতিশকে জয়ের জন্য শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন প্রাক্তন অভিনেতা তথা তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন (Shatrughan Sinha)। তাঁর কাণ্ডে দলের অন্দরে ছড়িয়েছে অস্বস্তি।
নীতিশ কুমারকে প্রশংসা শত্রুঘ্ন সিনহার (Shatrughan Sinha)
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন শত্রুঘ্ন সিনহা (Shatrughan Sinha)। সেখানে আসানসোলের সাংসদ লিখেছেন, বিহারবাসীর যে সরকার পাওয়ার কথা ছিল, যাকে ভোট দিয়েছে, সেই সরকারই পেয়েছে বিহারবাসী। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে নীতিশ কুমারকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভদ্র রাজনীতিক’, ‘সবথেকে প্রশংসিত’। তিনি আরও লেখেন, সবথেকে বিশ্বস্ত, পরীক্ষিত এবং সফল মুখ্যমন্ত্রী। ওই পোস্টটিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ট্যাগ করেন শত্রুঘ্ন সিনহা।

বিজেপিতে থেকেছেন শত্রুঘ্ন সিনহা: উল্লেখ্য, বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ হলেও এর আগে বিজেপিতে থেকেছেন শত্রুঘ্ন সিনহা। বাজপেয়ী জমানায় বিজেপি সাংসদ ছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও থেকেছেন। পরবর্তীতে কংগ্রেসে যোগ দেন শত্রুঘ্ন। সেখান থেকে বর্তমানে তৃণমূলে (Trinamool Congress) রয়েছেন তিনি। এদিকে শত্রুঘ্ন সিনহার এমন পোস্টে অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্যের শাসক দল।
আরও পড়ুন : যানজটেই কাবার অর্ধেক সময়, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে শহর জুড়ে একগুচ্ছ নতুন রাস্তার অনুমোদন
তৃণমূলের অন্দরে অস্বস্তি: এ বিষয়ে লোকসভায় তৃণমূলের উপদলনেতা শতাব্দী রায় শত্রুঘ্ন সিনহার বিষয়ে বলেন, ‘উনি হয়তো বিহার এবং বিহারি গরিমার প্রশ্ন থেকেই ব্যক্তিগত ভাবে এই টুইট করেছেন। কিন্তু এটি কোনও রাজনৈতিক বুদ্ধিমত্তার পরিচয় হয়নি’। শোনা যাচ্ছে, একান্ত আলোচনায় তৃণমূলের একাধিক লোকসভা সাংসদ নাকি বলেছেন, সংসদীয় দলের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ করা উচিত এখনই’।
আরও পড়ুন : দিঘা-দার্জিলিং নয়, এসি ভলভো বাসে চেপে ঘুরে দেখুন ডিসেম্বরের কলকাতা, বিশেষ প্যাকেজ রাজ্য সরকারের
অবশ্য এটা প্রথম নয়। এর আগেও শত্রুঘ্ন সিনহাকে নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে তৃণমূলকে। মুখ্যমন্ত্রী বারংবার মন্তব্য করেছিলেন খাওয়া পরা যার যার নিজস্ব ব্যাপার। কিন্তু চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসেই আমিষ নিরামিষ নিয়ে কথা তুলেছিলেন তিনি। শত্রুঘ্ন সিনহা মন্তব্য করেছিলেন, শুধু গোমাংসই নয়, দেশে সব আমিষ পদই নিষিদ্ধ করা উচিত। এই মন্তব্যের পরে দলের তরফে সতর্কও করা হয় তাঁকে।












