বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজ্য সঙ্গীত গাইতে হবে রাজ্যের প্রতিটি সরকারি স্কুল এবং সরকার পোষিত (WBBSE) স্কুলগুলিতে। কিছুদিন আগেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে জারি করা হয়েছে এমন নির্দেশিকা। সেই মতোই রাজ্যের সব স্কুলেই মানা হচ্ছে এই নিয়ম। ব্যতিক্রম শুধু এক জায়গায়। এই রাজ্যেরই একটি জায়গায় স্কুলগুলিতে গাওয়া হবে না রাজ্য সঙ্গীত।
সরকারি স্কুলগুলিতে (WBBSE) রাজ্য সঙ্গীত গাওয়ার নির্দেশ
রাজ্যের সমস্ত সরকারি এবং সরকার পোষিত স্কুলগুলিতে (WBBSE) রাজ্য সঙ্গীত গাওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই নির্দেশিকা জারি করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। সেখানে বলা হয়, এবার থেকে সকালের প্রার্থনা সঙ্গীতে গাইতে হবে ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’।

একটি জায়গায় মানা হবে না নিয়ম: ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল- পুণ্য হউক, পুণ্য হউক, পুণ্য হউক হে ভগবান। বাঙালির প্রাণ, বাঙালির মন, বাঙালির ঘরে যত ভাই বোন- এক হউক, এক হউক, এক হউক হে ভগবান’, গানের এই অংশটাই শুধু রাজ্যসঙ্গীত হিসেবে গাওয়া হবে বলে জানানো হয় নির্দেশিকায়। এক মিনিটের মধ্যে রাজ্য সঙ্গীত (WBBSE) সম্পূর্ণ করতে হবে বলেও জানানো হয়েছে। তবে একটি জায়গায় এই নিয়ম কার্যকর হবে না বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন : দিঘা-দার্জিলিং নয়, এসি ভলভো বাসে চেপে ঘুরে দেখুন ডিসেম্বরের কলকাতা, বিশেষ প্যাকেজ রাজ্য সরকারের
কী নির্দেশিকা জারি হয়েছে: সেই জায়গাটি হল গোর্খাল্যান্ড। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, দার্জিলিং এবং গোর্খাল্যান্ডের অধীনস্থ বিভিন্ন অঞ্চলের স্কুলগুলিতে রাজ্য সঙ্গীত গাওয়া হবে না। এ বিষয়ে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে যেখানে বলা হয়েছে, গোর্খাল্যান্ডের কোনও স্কুলে লাগু হবে না রাজ্যের শিক্ষা দফতরের নির্দেশিকা।
আরও পড়ুন : ‘সবথেকে প্রশংসিত’ রাজনীতিক, নীতিশ কুমারকে ঢালাও বাহবা শত্রুঘ্নর, সাংসদের কাণ্ডে অস্বস্তিতে তৃণমূল
জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে একটি চিঠি গিয়েছে জিটিএর সচিব পিডি প্রধানের তরফে। তাঁর কথায়, পাহাড়ি মানুষের সংষ্কৃতি, ঐতিহ্য এবং ভাষা ভিন্ন। তাই এখানে এই নিয়ম লাগু হবে না।












