বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্ত আরও এক ধাপ এগোল। দমকলমন্ত্রী সুজিত বোসের (Sujit Bose) জামাইকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁর কন্যা, স্ত্রী এবং পুত্রকেও তলব করেছে ইডি (Enforcement Directorate)। মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে হাজিরা দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই নোটিস পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সূত্র ধরে এই মামলায় নতুন করে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে।
সুজিত বোসের (Sujit Bose) জামাইকে জেরা, ব্যাঙ্ক নথি খতিয়ে দেখছে ইডি
সোমবার সুজিত বোসের (Sujit Bose) জামাইকে পুর নিয়োগ মামলায় তলব করা হয়। নির্দেশ ছিল ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত সমস্ত নথি সঙ্গে নিয়ে হাজিরা দিতে। সেই মতোই নথি নিয়ে ইডি (Enforcement Directorate) দপ্তরে পৌঁছন তিনি। তদন্তকারীদের দাবি, পুর নিয়োগের দুর্নীতির টাকা বিভিন্ন ব্যবসা ও হোটেলে বিনিয়োগ করা হয়েছিল। সুজিত বোসের জামাই নিজে ব্যবসায়ী এবং তাঁর পরিবারও বিভিন্ন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। সেই সব প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতির টাকা ঢুকেছে কি না, তা খতিয়েই এই তলব। তল্লাশির সময় যে নথি পাওয়া গেছে, তার ভিত্তিতেই জেরা চলছে বলে ইডি সূত্রের দাবি। যদিও অন্য একটি সূত্র জানায়, কয়েক মাস আগেই সুজিতের কন্যার সঙ্গে তাঁর স্বামীর বিচ্ছেদ হয়েছে।
সম্প্রতি কলকাতার কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি। সল্টলেক সেক্টর ওয়ানে সুজিত বোসের (Sujit Bose) অফিস থাকা ভবনেও যায় তদন্তকারীরা। এ ছাড়াও তাঁর একটি রেস্তরাঁও তল্লাশি চালানো হয়। গোলাহাটায় মন্ত্রীপুত্রের নামে থাকা একটি ধাবাতেও চলে অভিযান। সেখান থেকে উদ্ধার হয় বেশ কিছু নথি, যা তদন্তের গতিপথ আরও স্পষ্ট করে। সেই সূত্র ধরেই প্রথমে জামাইকে এবং পরে পরিবারের বাকি সদস্যদের তলব করা হয়েছে।
স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে প্রথমেই ব্যবসায়ী অয়ন শীলকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। তাঁর সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি চালানোর সময়ই পাওয়া যায় একাধিক উত্তরপত্র বা ওএমআর শিট। সেখান থেকেই পুরসভার নিয়োগে দুর্নীতির ইঙ্গিত পান তদন্তকারীরা। অয়নের সংস্থা পুর নিয়োগের ওএমআর শিট তৈরির দায়িত্বে ছিল। তদন্তে নেমে আরও বহু গ্রেপ্তারি হয়। পরে আর্থিক লেনদেনের দিকটি খতিয়ে দেখতে (Enforcement Directorate) তদন্তে নামে ইডি।

আরও পড়ুনঃ এখন ঘরে বসেই পান EWS সার্টিফিকেট! কোন নথি লাগবে এবং কারা আবেদন করবেন? জানুন
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১২ জানুয়ারি লেকটাউনে সুজিত বোসের (Sujit Bose) দুটি বাড়ি ও দপ্তরে ১৪ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালান ইডি (Enforcement Directorate) আধিকারিকেরা। উদ্ধার হয় মোবাইল ফোন ও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি। সেই সময়ের নথিও বর্তমান তদন্তে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। ইডি সূত্রের দাবি, পুর নিয়োগ দুর্নীতির অর্থ লেনদেনের সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না, তা জানতেই তাঁদের ব্যাঙ্কের নথি ও ঋণ সংক্রান্ত কাগজপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে।












