‘বাংলাদেশে শান্তি ও গণতন্ত্রের জন্য…’, হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের পর প্রথম প্রতিক্রিয়ায় কী জানাল ভারত?

Published on:

Published on:

Bangladesh What did India say after Sheikh Hasina's death sentence.
Follow

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পর ভারতের প্রথম প্রতিক্রিয়া সামনে এসেছে। ভারত (India) জানিয়েছে যে, ভারত সরকার এই রায় নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং বাংলাদেশের স্বার্থের প্রতি সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে। ইতিমধ্যেই ভারত সরকারের জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, তারা বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেওয়া রায়ের কথা নোট করেছে।

মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা:

ভারত শান্তি, গণতন্ত্র এবং স্থিতিশীলতার ওপর জোর দেয়: ভারত স্পষ্টভাবে বলেছে যে, ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে তারা বাংলাদেশের জনগণের সর্বোত্তম স্বার্থের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিদেশ মন্ত্রক আরও বলেছে যে, শান্তি, গণতন্ত্র, অন্তর্ভুক্তি এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ভারত সর্বদা এই মূল্যবোধের সমর্থনে থাকবে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে, ভবিষ্যতেও বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে ভারত বাংলাদেশের প্রত্যেক অংশীদারদের সঙ্গে গঠনমূলক সংলাপ চালিয়ে যাবে।

Bangladesh What did India say after Sheikh Hasina's death sentence.

শেখ হাসিনা মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন: জানিয়ে রাখি যে, গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের জুলাই মাসে তৎকালীন হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে যে গণবিক্ষোভ ঘটেছিল সেই সময়ে “মানবতাবিরোধী অপরাধ”-এর জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এদিকে, গত বছরের ৫ অগাস্ট থেকে ৭৮ বছর বয়সী হাসিনা, তাঁর সরকারের পতনের পর থেকে ভারতে বসবাস করছেন। এমতাবস্থায়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-বাংলাদেশ (ICT-BD) তাঁর সাজা ঘোষণা করেছে। এদিকে, আদালত হাসিনাকে আগেই পলাতক ঘোষণা করে।

আরও পড়ুন: এবার দাদার কথা মানতে বাধ্য গম্ভীর? ইডেনে হারের পর টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচকে বিশেষ পরামর্শ সৌরভের

বিক্ষোভের ও ভয়াবহ দমন-পীড়নের নেপথ্যে হাসিনা ছিলেন; ICT: জানিয়ে রাখি যে, ঢাকার কড়া পাহারা ঘেরা আদালতে রায় পাঠ করে ট্রাইব্যুনাল বলেছে যে গত বছরের ১৫ জুলাই থেকে ১৫ অগাস্টের মধ্যে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভের ওপর ভয়াবহ দমন-পীড়নের পেছনে হাসিনার হাত ছিল বলে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

আরও পড়ুন: মৃত্যদণ্ডে দণ্ডিত শেখ হাসিনা! ফাঁসির সাজা পেলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানও

জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের একটি রিপোর্টে অনুমান করা হয়েছে যে “জুলাই বিদ্রোহ” নামে অভিহিত প্রায় ১ মাস ধরে চলা এই আন্দোলনে ১,৪০০ জন নিহত হন। নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগের নির্দেশ, উস্কানিমূলক বক্তব্য এবং ঢাকা ও তার আশেপাশের এলাকায় বেশ কয়েকজন পড়ুয়াকে হত্যার দিকে পরিচালিত করে এমন প্রচার চালানোর অনুমতি দেওয়ার জন্য হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।