পাহাড় নিয়ে ফের কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত! মধ্যস্থতাকারী নিয়ে ক্ষোভ মমতার, চিঠি গেল প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে

Published on:

Published on:

Mamata Banerjee Slams Centre over GTA Mediator
Follow

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পাহাড়ের প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক জট নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের মতভেদ নতুন নয়। গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)-এর জন্য কেন্দ্র যে নতুন মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ করেছে, তা নিয়েই ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এই বিষয়ে তিনি সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চার পাতার চিঠি পাঠিয়েছেন।

কী নিয়ে আপত্তি জানাল রাজ্য সরকার?

গোর্খাল্যান্ডের প্রশাসনিক কাঠামো ও জিটিএ–র কার্যক্রম নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব ছিল। সেই পুরনো দ্বন্দ্ব ফের সামনে এল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তে। দার্জিলিং, তরাই এবং ডুয়ার্সের গোর্খা সংগঠনগুলির সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা চালাতে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে প্রাক্তন আইপিএস পঙ্কজকুমার সিংহকে নিয়োগ করেছে কেন্দ্র। আর সেই নিয়োগেই আপত্তি জানাল রাজ্য সরকার।

দ্বিতীয়বার কেন্দ্রকে চিঠি মমতার (Mamata Banerjee)

সূত্র অনুযায়ী, এই নিয়ে এ মাসে দ্বিতীয়বার কেন্দ্রকে চিঠি পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজ্যের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই কেন্দ্র এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এটাই তাঁর সবচেয়ে বড় আপত্তি। তিনি বলেন, এইভাবে প্রাক্তন আমলাদের ব্যবহার করলে তাঁদের মধ্যে কেন্দ্রের প্রতি বিশেষ আনুগত্য তৈরি হয়। এর ফলে পাহাড়ের পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।

গতমাসেও মমতা (Mamata Banerjee) একই অভিযোগ তুলে মোদীকে চিঠি দিয়েছিলেন। তখন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর জানিয়েছিল, বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, সেই নির্দেশ মানা হয়নি। উল্টে স্বরাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে যে প্রাক্তন আমলাটি ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছেন। এটাকেই ‘বিস্ময়কর’ বলেছে রাজ্য।

Mamata Banerjee Slams Centre over GTA Mediator

আরও পড়ুনঃ শহরে কর ব্যবস্থার অসংগতি! শহরজুড়ে জমি-সম্পত্তির কর কাঠামো ফের খতিয়ে দেখতে নির্দেশ ফিরহাদের

এই প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একেবারেই গুরুত্ব দিচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) অভিযোগকে। তিনি বলেন, ” মমতার এই চিঠির কোনও দাম নেই। কেন্দ্র যা করেছে, আইনের নিয়ম মেনে করেছে। একজন আইপিএস তো রাজনৈতিক ব্যক্তি নন।” এই পরিস্থিতিতে পাহাড়ের প্রশাসন, জিটিএ-র ভবিষ্যৎ এবং কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কের টানাপোড়েনে পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেবে, এখন সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।