বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিহার বিধানসভায় সাফল্য পেয়ে নতুন অক্সিজেন পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি (BJP)। বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। ফলে ‘মিশন বাংলা’ সামনে রেখে রাজ্য সংগঠনকে নতুন করে গুছিয়ে তুলতে মাঠে নেমে পড়েছে দল। বিজেপি সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে, কাজ করতে হবে একযোগে, কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলবে না।
মহিলা সুরক্ষা, আইনশৃঙ্খলা ও বেকারত্ব কে প্রধান ইস্যু করছে বিজেপি (BJP)
দলের (BJP) অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ণে উঠে এসেছে, ২০২৬-এর ছাব্বিশের নির্বাচনে সবচেয়ে বড় ইস্যু হতে পারে মহিলাসুরক্ষা ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি। বিহারে RJD-কে টার্গেট করতে বারবার ‘জঙ্গলরাজ’ ব্যবহার করেছে বিজেপি, আর ফল ঘোষণার দিনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলা থেকেও সেই ‘জঙ্গলরাজ’ উপড়ে ফেলার কথা বলেন।
বিজেপির বার্তা, “ভাল ভাবে বাঁচতে চাইলে বিজেপিকে ভোট দিন।” পাশাপাশি রাজ্যের বেকারত্ব, কাজের অভাবে ভিনরাজ্যে যাওয়ার প্রবণতাও প্রচারের বড় হাতিয়ার হবে বলে খবর।
২০২১ সালের অভিজ্ঞতায় বিজেপি বুঝেছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের দলে টেনে খুব লাভ হয়নি। তাই এবার পরিকল্পনা বড় নেতা নয়, বুথ স্তরের কর্মীদের দলে আনা হবে। সংগঠনকে নীচুতলায় মজবুত করতেই এই কৌশল। তৃণমূলের ভেতরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্র করে যে ক্ষোভ বাড়ছে, সেটিও বিজেপি মনোযোগ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করছে। এই ক্ষোভকে ‘বংশবাদ’-এর তর্কের সঙ্গে মিলিয়ে প্রচারে ব্যবহার করার প্রস্তুতি চলছে।
রাজ্য নেতৃত্বকে বিজেপি (BJP) স্পষ্ট নির্দেশ দিয়ে বলেছে যে, সব গোষ্ঠীকে একজোট করে কাজ করতে হবে। সেই লক্ষ্যেই সারা রাজ্যে পদযাত্রা করবে বঙ্গ বিজেপি। রাজ্যের ৯১ হাজার বুথের মধ্যে ৭০ হাজার বুথ সমিতি তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। SIR প্রক্রিয়া শেষ হলে ভোটার লিস্ট দেখে বুথ কমিটিগুলির পুনর্গঠন করা হবে।
দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বাংলায় জাতপাতের সমীকরণ খুব কার্যকর নয়। তাই অতিরিক্ত জাতভিত্তিক প্রচারের পরিকল্পনা নেই। আবার ধর্মীয় মেরুকরণও আলাদাভাবে বাড়ানোর প্রয়োজন নেই কারণ বিজেপির হিন্দুত্ব পরিচিতির কারণে ৩০-৪০টি আসনে হিন্দু ভোটের প্রাকৃতিক মেরুকরণ হয়।

আরও পড়ুনঃ আজ SSC নিয়োগ মামলার একাধিক শুনানি! কোন কোন কেসের রায় বেরোবে আজ? জানুন বিস্তারিত
বিজেপির হিসেব অনুযায়ী, বিভিন্ন নির্বাচনে তারা মিলিয়ে প্রায় ১২১টি আসনে জয় পেয়েছে। এই আসনগুলিকেই ভিত্তি ধরে এবার সর্বশক্তি নিয়োগের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি ৪০-৫০টি অতিরিক্ত আসনেও নজর বাড়ানো হয়েছে। দলের টার্গেট ১৬০ থেকে ১৭০টি আসন জেতা। আর সে কারণেই প্রার্থী বাছাইয়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে চলেছে বিজেপি (BJP)।












