বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এসএসসি (SSC) পরীক্ষায় বড় গরমিলের অভিযোগ উঠল আবার। সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে কমিশন বলেছিল, পরীক্ষায় একজনও অযোগ্য প্রার্থী বসেনি। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টে নতুন মামলার শুনানিতে সেই দাবির বিপরীত ছবি সামনে এল। মামলাকারীর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, ফল প্রকাশ হতেই দেখা যায় অযোগ্য তালিকায় থাকা নীতীশরঞ্জন বর্মনের নাম পরীক্ষার ফলাফলে রয়েছে। আর এই অভিযোগের ভিত্তিতেই হাই কোর্টে মামলা করা হয়েছে।
কমিশনের (SSC) উদ্দেশ্য ছিল অযোগ্য প্রার্থীদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া?
ফিরদৌস শামিমের বক্তব্য, যে কোনও অবস্থাতেই কমিশনের (SSC) উদ্দেশ্য ছিল অযোগ্য প্রার্থীদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া। তিনি দাবি করেন, এ ব্যাপারে কমিশন ইচ্ছাকৃতভাবে গোপনীয়তা বজায় রাখার চেষ্টা করেছে। কারণ, অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকার নামে কমিশন শুধু রোল নম্বর এবং নাম প্রকাশ করেছে। একই নামের বহু ব্যক্তি থাকতে পারে। ফলে প্রকৃত প্রার্থীকে শনাক্ত করাই অসম্ভব হয়ে যায়।
হাইকোর্ট আগেই নির্দেশ দিয়েছিল, অযোগ্য প্রার্থীদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য, অর্থাৎ নাম, রোল নম্বর, ঠিকানা, সমস্ত পরিচয়পত্র-সহ লিস্ট প্রকাশ করতে হবে। কিন্তু আদালতের সেই নির্দেশ মানা হয়নি বলেই অভিযোগ করেন মামলাকারীর আইনজীবী। তিনি বলেন, “এইভাবে নাম আর রোল নম্বর প্রকাশ করে কমিশন জনসমক্ষে বিভ্রান্তি তৈরি করেছে।”
ফলপ্রকাশের পর নীতীশরঞ্জন বর্মনের নাম দাগি তালিকায় থাকা সত্ত্বেও ফলাফলে উঠে আসায় নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে কমিশনের ভূমিকা নিয়ে। এই অভিযোগ থেকেই মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাই কোর্টে। সেখানে শুনানিতে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হল এসএসসি-কে (SSC)। মামলাকারী পক্ষের দাবি, এখন আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করতেই হবে কমিশনকে।

আরও পড়ুনঃ সংহতি দিবসেও যাবেন না হুমায়ুন! বাবরি মসজিদের শিলান্যাসে ব্যস্ত তৃণমূল বিধায়ক
প্রসঙ্গত, এসএসসি-র (SSC) প্রশাসনিক কার্যপ্রণালী নিয়ে হাই কোর্টে চাপে পড়েছে কমিশন। আগামী শুনানিতে কমিশন কী ব্যাখ্যা দেয়, তা নিয়েই এখন নজর শিক্ষা দপ্তর থেকে শুরু করে পরীক্ষার্থীদের মধ্যেও।












