বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আইএসএফের (ISF) নওশাদ সিদ্দিকীকে আক্রমণের কোনও সুযোগ ছাড়তেন না তৃণমূলের (TMC) শওকত মোল্লা। কর্মীসভা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক সভা, সব জায়গা থেকে সুর চড়াতে দেখা যেত তাঁকে। তবে ভোটের (Lok Sabha Election) আগেই পাল্টে গিয়েছে সম্পূর্ণ চিত্র। নওশাদকে আক্রমণ তো দূর, তাঁকে নিয়ে কোনও মন্তব্য অবধি করতে চাইছেন না ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক।
একসময় নওশাদকে (Nawsad Siddique) ‘জঙ্গি মদতদাতা’, ‘খুনি’, ‘চুনোপুঁটি’ বলে আক্রমণ শানিয়েছেন শওকত (Shaukat Mulla)। তবে সম্প্রতি তিনি বলেন, ‘ওঁকে নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না’। তৃণমূল নেতার মুখ থেকে একথা শোনার পর থেকেই মাথাচাড়া দিয়েছে ‘গোপন আঁতাতে’র জল্পনা। তাহলে কি ভোটের মুখে কাজ করছে অন্য কোনও সমীকরণ? এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হতেই শওকত বলেন, ‘কোনও সমীকরণ না। আমাকে জিজ্ঞেস না করে ওঁর থেকে জানতে চান’।
দিন কয়েক আগেই বাংলার বেশ কয়েকটি হাইভোল্টেজ লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম প্রকাশ করেছে আইএসএফ। এর মধ্যে অন্যতম হল ডায়মন্ড হারবার। প্রথমে এই আসন থেকে নিজে দাঁড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন নওশাদ। তবে দলের তরফ থেকে টিকিট দেওয়া হয়েছে মজনু লস্করকে। আইএসএফের প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পরেও কোনও মন্তব্য করেননি ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক। শোনা যাচ্ছে, তৃণমূলের তরফ থেকে নওশাদের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে বারণ করা হয়েছে তাঁকে।
আরও পড়ুনঃ ভূপতিনগর কাণ্ডে নয়া মোড়! NIA-র বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তৃণমূলের, শুরু তদন্ত
তাহলে কি সত্যি সত্যিই ভোটের মুখে ‘গোপন আঁতাত’ তৃণমূল-আইএসএফের? এই প্রসঙ্গে শওকত কোনও মন্তব্য না করলেও নওশাদ বলেন, ‘কে কোনও স্ট্র্যাটেজিতে আইএসএফকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা করছে সেটা বলা কঠিন। হয়তো ওনারা ভাবছেন, এমন পরিকল্পনা করে আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করে নিজেদের দিকে কিছু ভোট টানতে তৃণমূল। তবে এমনটা হবে না। মানুষ আমাদের পাশে আছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমাদের তিনজন কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। অনেকের ক্ষতি হয়েছে। আর সেসব হয়েছে শওকত মোল্লা সাহেবের নির্দেশে। ওনার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলছে, চলবে’।
এখানেই না থেমে আইনি ও রাজনৈতিক লড়াইয়ের হুঁশিয়ারি দিয়ে নওশাদ বলেন, ‘আমরা আইনি লড়াই লড়ছি। NHRC যাকে নটোরিয়াস ক্রিমিনাম তকমা দিয়েছে, তাঁকে আইএসএফ এক ইঞ্জি জমিও ছাড়বে না। ওনার বিরুদ্ধে আইনি ও রাজনৈতিক দুই লড়াই-ই চলবে’।