বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এসএসসি ইস্যুতে টালবাহানা অব্যাহত। একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক পদে নিয়োগের পরীক্ষার পর ফলাফল সামনে এনেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (School Service Commission)। নতুন নিয়োগের প্যানেলের ইন্টারভিউ তালিকাও প্রকাশিত হয়েছে। তবে নয়া তালিকা নিয়ে জট তৈরি হয়েছে নতুন করে। অভিযোগ, অযোগ্যদেরও জায়গা হয়েছে এসএসসির তালিকায়। এই নিয়েই মামলা হলে হাইকোর্টের (Calcutta High Court on SSC) নির্দেশ, অযোগ্য হলেও বিশেষ ভাবে সক্ষমরাও সুযোগ পাবেন না এবং দাগিদের নাম বাদ দিতে হবে।
এসএসসি: ‘দাগি`দের নাম বাদ দিতে হবে’, নির্দেশ হাইকোর্টের | School Service Commission
SSC নতুন তালিকা নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ, কমিশন (SSC) ওয়েব সাইটে ওএমআর আপলোড করবে। পাশাপাশি শনাক্ত করতে যাতে সুবিধা হয় তাই অযোগ্যদের নামের পাশে তাঁদের সব তথ্য দিতে হবে। কমিশন তরফে জানানো হয়, বিশেষ ভাবে সক্ষম বলেই অযোগ্যদের নাম রয়েছে তালিকায়। সেই কারণেই তাঁদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে বলেও জানানো হয় আদালতে। একথা শুনে বিচারপতি সিনহা বলেন, আপনারা অযোগ্যদের বসতে দিচ্ছেন? সর্বোচ্চ আদালত কোথায় এমন বলেছে সেই প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। হাইকোর্ট বললে তাঁদের নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হবে বলে কমিশন তরফে জানানো হয়।

উল্লেখ্য, আগে শিক্ষামন্ত্রীও বলেছিলেন, সুপ্রিম কোর্ট থেকে বিশেষভাবে সক্ষমদের আইনিভাবে ছাড় দেওয়া রয়েছে কি না সেটা খতিয়ে দেখা হবে। সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী বলা ছিল, বিশেষভাবে সক্ষম কেউ পরীক্ষায় বসতে পারে সেটা আমরা আইনজীবীর মাধ্যমে কথা বলে আলোচনা করে দেখব।
এদিন হাইকোর্ট বলে, অযোগ্য নয়, এমন প্রার্থীদের বয়সের ছাড় দেওয়া হোক। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশমতো, অযোগ্য হলে বিশেষ ভাবে সক্ষমরা সুযোগ পাবেন না বলে বোঝায়, পর্যবেক্ষণ আদালতের। পাশাপাশি অযোগ্যদের যে তালিকা দেওয়া হয়েছে, তাতে শুধু প্রার্থীর নাম দিয়ে প্রকাশ কেন তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে আদালত। ওয়েব সাইটে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে ওএমআর আপলোড করারও নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।

আরও পড়ুন: ২৫ বছরে দশম বার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী! প্রধানমন্ত্রী মোদীর উপস্থিতিতে শপথ গ্রহণ করলেন নীতীশ কুমার
কোনওভাবেই কোনও চিহ্নিত অযোগ্যকে সুযোগ দেওয়া হবে না বলে স্পষ্ট করেন বিচারপতি। বলেন, “দাগি” তালিকায় নাম থাকলে তিনি নিয়োগে অংশ নিতে পারেন না। যদি কোন “দাগি” প্রার্থী অংশ নিয়েও থাকেনা , তাহলে তাঁর নাম বাদ দিতে হবে। বিচারপতি সিনহা স্পষ্ট বলেন, এটাই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ।












