২০২০-র আগে মাদ্রাসায় চাকরি বৈধ তো? বড় প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টে

Published on:

Published on:

Supreme Court to Review Pre-2020 Madrasah Appointments
Follow

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গের মাদ্রাসাগুলিতে ২০২০ সালের আগে ম্যানেজিং কমিটি যাঁদের শিক্ষক বা অশিক্ষক হিসাবে চাকরি দিয়েছিল, সেই নিয়োগ বৈধ কি না, তা এখন দেখবে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বুধবার মামলার শুনানিতে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহ আবেদনকারীদের আরও তথ্য দিতে বলেন।

এখন থেকে সব নিয়োগ করবে কমিশন, জানাল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)

আগে মাদ্রাসায় শিক্ষক-অশিক্ষক নিয়োগ করত ম্যানেজিং কমিটি। পরে রাজ্য সরকার বলে, এই নিয়োগের ক্ষমতা মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের হওয়া উচিত। এরপর ২০২০ সালে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) জানিয়ে দেয়, এখন থেকে সব নিয়োগ করবে কমিশন। তবে ২০২০-র আগে যে নিয়োগ হয়েছে, তা বজায় থাকবে এবং ওই কর্মীদের বকেয়া বেতনও দিতে হবে।

তারপর সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) মাদ্রাসার বৈধতা ও অনুমোদন নিয়ে খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি কমিটি তৈরি করে। সেই কমিটির রিপোর্ট ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে যায়। এই রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ করে অনেক শিক্ষক-অশিক্ষক অভিযোগ করেন কোর্টের আগের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও তাঁরা বেতন পাচ্ছেন না। মোট ৩৬১টি মামলা জমা পড়েছে।

বুধবার শুনানিতে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত আবেদনকারীদের জিজ্ঞেস করেন “আপনাদের তো অনুমোদনই নেই, তাহলে চাকরি বজায় থাকবে কীভাবে?” আবেদনকারীদের আইনজীবীরা বলেন, মাদ্রাসাগুলির অনুমোদন ছিল, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার সময়মতো অনুমোদন নবীকরণ করেনি। সে নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে অন্য মামলা চলছে। কিন্তু এই ব্যাখ্যায় বিচারপতি দত্ত সন্তুষ্ট হননি। তিনি আরও বলেন, “কোনও পরীক্ষা-প্রতিযোগিতা না করে শুধু পছন্দের মানুষকে কি চাকরি দেওয়া যায়? যেখানে সরকারি টাকা খরচ হচ্ছে!” এরপর তিনি জানতে চান, নিয়োগপত্রগুলি কি জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (ডিআই) অনুমোদন করেছিলেন?

Supreme Court to Review Pre-2020 Madrasah Appointments

আরও পড়ুনঃএটা কি প্রেম করার জায়গা?’ হাত ধরে হাটা থেকে শুরু বচসা, তারপরে মারধর, ফের চাঞ্চল্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে

শেষে আদালত (Supreme Court) জানায়, ৩৬১টি আলাদা মামলা শুনে হবে না। শিক্ষকদের পক্ষ থেকে ১০ জন এবং অশিক্ষকদের পক্ষ থেকে ৫ জনকে বেছে নিয়ে তাঁদের মামলা শোনা হবে। এক সপ্তাহের মধ্যে বিশেষ কয়েকটি বিষয় বিস্তারিত জানাতে হবে আবেদনকারীদের। সেগুলি হল-

  • মাদ্রাসার অনুমোদন ছিল কি না
  • ম্যানেজিং কমিটি বৈধ ছিল কি না
  • ডিআই নিয়োগের প্যানেল অনুমোদন করেছিলেন কি না
  • নিয়োগপত্রের কপি জমা দিতে হবে

এই মামলার পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ শুনানি হবে ১৭ ডিসেম্বর।