বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অবৈধ কয়লা কারবারকে কেন্দ্র করে ফের বড়সড় পদক্ষেপ নিল ইডি (Enforcement Directorate)। শুক্রবার সকাল থেকেই কলকাতা সহ একাধিক জেলায় শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। বেআইনি খনি খনন থেকে কয়লা পরিবহণ, প্রতিটি স্তরেই দুর্নীতির সূত্র খুঁজে বের করতে ফের তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
কলকাতা সহ মোট ২৪ জায়গায় তল্লাশি অভিযান ইডি-র (Enforcement Directorate)
অবৈধ কয়লা কারবার মামলায় শুক্রবার সকাল থেকে কলকাতা সহ মোট ২৪টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে ইডি (Enforcement Directorate)। শুধু কলকাতাই নয়, তালিকায় রয়েছে দুর্গাপুর, হাওড়া এবং পুরুলিয়ার বিভিন্ন এলাকা। বেআইনি ভাবে কয়লা খনি খনন, তা পরিবহণ এবং বিপুল পরিমাণ কয়লা মজুত করে রাখার অভিযোগেই এই রেইড বলে তদন্তকারী সূত্রের খবর।
জানা গিয়েছে, ব্যবসায়ী নরেন্দ্র খারকা, অনীল গোয়াল, যুধিষ্ঠির ঘোষ এবং কৃষ্ণ মুরারি কয়ালের বাড়িতে এই মুহূর্তে তল্লাশি চলছে। ইডি-র (Enforcement Directorate) সঙ্গে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর বেশ কয়েকজন জওয়ানও। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের ভূমিকা নিয়ে নথিপত্র, ডিজিটাল প্রমাণ এবং আর্থিক লেনদেনের খোঁজ পেতেই এই অভিযান।
বাংলা ছাড়াও ঝাড়খণ্ড জুড়ে চলছে আরও বড়সড় তল্লাশি। রাঁচিতে প্রায় ১৮টি জায়গায় হানা দিয়েছে ইডি (Enforcement Directorate)। গোটা ঝাড়খণ্ড মিলিয়ে প্রায় ৪০টি লোকেশন ঘিরে তল্লাশি চলছে। সেখানে বেআইনি কয়লা কারবারের সঙ্গে জড়িত বলে নাম উঠেছে অনীল গোয়াল, সঞ্জয় উদ্ধোগ, এলবি সিং এবং অমর মণ্ডলের। তাঁদের একাধিক প্রপার্টি এবং অফিস থেকে নথি জব্দ করছে তদন্তকারীরা। ইডি-র অনুমান, এই কয়লা পাচার চক্রে জড়িয়ে রয়েছে কয়েকশো কোটি টাকার লেনদেন। প্রসঙ্গত, এর আগেও কয়লা পাচার মামলায় দিল্লিতে তলব করা হয়েছিল নরেন্দ্র খারকাকে। ২০২৩ সালের ১ এপ্রিল শক্তিগড়ে কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝা খুনের পরেও তিনি আলোচনায় আসেন। এবার ফের তাঁর দিকেই তাকিয়ে তদন্তকারীরা।
শুধু কয়লাই নয়, বালি পাচার নিয়েও সম্প্রতি সক্রিয় হয়েছে ইডি (Enforcement Directorate)। গত সেপ্টেম্বরেই ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুর এলাকার বাসিন্দা শেখ জহিরুল শেখ-এর বাড়িতেও অভিযান চালানো হয়। সেই একই মামলার সূত্র ধরে উত্তর ২৪ পরগনা ও নদিয়া জেলাতেও চলেছিল তল্লাশি।

আরও পড়ুনঃ মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ! নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি দিলেন শুভেন্দু, কী লিখেছেন চিঠিতে?
উল্লেখ্য, অবৈধ কয়লা ও বালি কারবারে ক্রমশ শক্ত অবস্থান নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তদন্তকারীদের দাবি, এই চক্র ভাঙতে গেলে প্রয়োজন আরও বিস্তৃত অভিযান। আর সেই কারণেই বাংলার পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডে চলছে ইডি (Enforcement Directorate) অভিযান।












