বাংলা হান্ট ডেস্কঃ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) পাঁচ বছর পর ফের ভোট হতে চলেছে। তবে এবার এই ভোট ছাত্রদের নয়, গবেষকদের জন্য। প্রথমবার গবেষকরা সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ অভিযোগ নিরসন কমিটি বা আইসিসি-তে প্রতিনিধি পাঠাবেন। তাই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এখন বেশ উত্তেজনা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ক্যাম্পাস জুড়ে পড়েছে ব্যানার-পোস্টার
সূত্রের খবর, ভোট হবে ২৭ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার। ভোট শুরু হবে দুপুর আড়াইটে, চলবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত। মোট ২,৩০০ গবেষক-পড়ুয়া ভোট দিতে পারবেন। এদিন পর্যন্ত ৫ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। দীর্ঘদিন পর ভোট হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ক্যাম্পাস জুড়ে পোস্টার-ব্যানার পড়েছে, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন প্রচারে নেমেছে।
তবে এই নির্বাচনকে ‘বেআইনি’ বলছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। সংগঠনের সভাপতি কিশলয় রায় অভিযোগ করে বলেছেন, “ভোটার তালিকা এখনও প্রকাশ হয়নি। মনোনয়ন জমা পড়ে গিয়েছে। সব কিছু ঠিকঠাক হলে আমরা আরও উৎসাহী হতাম, কিন্তু প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নেই।” যদিও তৃণমূল শিবির প্রার্থী দেয়নি, তাঁরা ভোট বয়কটও করেননি। তাঁদের দাবি স্বচ্ছভাবে নির্বাচন হোক।
অন্যদিকে বাম সমর্থিত প্রার্থী রচয়িতা ঘোষ মনে করেন, এই নির্বাচন গবেষকদের জন্য বড় সুযোগ। তিনি বলেন, “যদি আমরা প্রতিনিধি পাঠাতে পারি, তবে গবেষকদের পরিচয় আরও দৃঢ় হবে। ওয়েলফেয়ার বোর্ড, অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি এসব জায়গায় গবেষকরাও অংশ নিতে পারবেন।” এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানান, “এখন ছাত্র সংসদ নেই। তাই মনোনয়নেরও কোনও জায়গা নেই। একজন গবেষক প্রতিনিধিকে আইসিসিতে রাখা বাধ্যতামূলক। তাই নির্বাচন করতেই হচ্ছে।”

আরও পড়ুনঃ শিক্ষক বিএলও-দের হয়রানি? কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে জোড়া নির্দেশিকা জারি করল কমিশন
৫ বছর পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) ভোট হওয়ায় গবেষকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়েও তৈরি হয়েছে নির্বাচনমুখর পরিবেশ। এবার দেখার বিষয়, কোন প্রার্থী গবেষকদের প্রতিনিধি হয়ে আইসিসিতে জায়গা করে নেন।












