বাংলা হান্ট ডেস্কঃ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) নিরাপত্তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই প্রশ্ন উঠে আসছিল। এবার সেই বিষয়ে সরাসরি অসন্তোষ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। নিরাপত্তা জোরদার করার কাজে দেরি, সিসিটিভি না বসানো থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগে গাফিলতি, সব মিলিয়ে আদালতের কড়া নজর এখন রাজ্য সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করল হাই কোর্ট
প্রসঙ্গত, এদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন নিয়ে রাজ্য সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সক্রিয়তা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো ও নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েনের ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রিতা দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল ও বিচারপতি পার্থ সারথি সেন।
বেঞ্চ পরিষ্কার জানিয়েছে, যাদবপুরের (Jadavpur University) মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা নিয়ে কোনও শিথিলতা গ্রহণযোগ্য নয়। আদালত জানিয়েছে, রাজ্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে যে ব্যাখ্যা জমা পড়েছে, তা সন্তোষজনক নয়। কেন এতদিন পেরিয়েও নিরাপত্তা বৃদ্ধির কাজে চোখে পড়ার মতো অগ্রগতি নেই, সে প্রশ্নও তোলে আদালত।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) চত্বরে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো এবং পর্যাপ্ত নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগের কাজ সম্পূর্ণ করতে কতটা সময় লাগবে, তা নির্দিষ্ট করে হলফনামায় জানাতে হবে। রাজ্য ও বিশ্ববিদ্যালয়কে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বিস্তারিত হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, আগের নির্দেশ মেনে কাজের গতি কেন ত্বরান্বিত হয়নি, তার ব্যাখ্যাও চাইছে আদালত।
নজরদারি উন্নয়নের উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যেই রাজ্যের অর্থ দপ্তর ৬৭ লক্ষ টাকার বেশি বরাদ্দ করেছে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। তার আগে হলফনামায় সময়সীমা উল্লেখ না থাকলে আদালত আরও কঠোর অবস্থান নিতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।

আরও পড়ুনঃ তালিকা সংশোধনে ঢিলেমি? দলকে কড়া বার্তা দিতে সোমবার বৈঠকের ডাক দিলেন অভিষেক
উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) চত্বরে বারবার ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার পর থেকেই নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন আরও তীব্র হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা, হস্টেল নজরদারি ও সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে শিক্ষকমহল ও আদালতের উদ্বেগ বহুবার প্রকাশ পেয়েছে। নতুন নির্দেশের পর রাজ্য ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, উভয়ের প্রস্তুতিই এখন আদালতের নজরে।












