বাংলাহান্ট ডেস্ক: বর্তমানে আধার কার্ড (Aadhaar Card) দেশে প্রতিটি নাগরিকের অন্যতম প্রধান পরিচয়পত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া, স্কুলে ভর্তি, হাসপাতালে পরিচয় প্রদান বা ব্যাঙ্কিং পরিষেবা—সব ক্ষেত্রেই আধার এখন অপরিহার্য। তাই শিশুদের ক্ষেত্রেও আধার কার্ড তৈরি করা সমানভাবে জরুরি হয়ে উঠেছে। বাবা-মাদের এই প্রয়োজনীয়তা আরও সহজ করতে ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস ব্যাঙ্ক এবং পোস্ট অফিস আধার তৈরির প্রক্রিয়াকে আরও সরল করেছে। এখন পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুদের আধার কার্ড তৈরি করা যাবে কয়েক মিনিটের মধ্যেই এবং পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।
এখন আরও সহজ হচ্ছে শিশুদের আধার কার্ড (Aadhaar Card) বানানো:
সরকারি বা বেসরকারি বিভিন্ন পরিষেবায় আধারের (Aadhaar Card) বাধ্যতামূলক ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছোট শিশুদেরও পরিচয়পত্র থাকা এখন জরুরি হয়ে পড়েছে। স্কুলে ভর্তি, রেশন কার্ড লিঙ্কিং, হাসপাতালের জরুরি পরিষেবা বা ভবিষ্যতের কোনও সরকারি সুবিধা গ্রহণ—সবক্ষেত্রেই আধার না থাকলে সমস্যা তৈরি হতে পারে। বিশেষ করে পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুদের জন্য এখনই আধার তৈরি করিয়ে রাখলে পরে নাম নথিভুক্তকরণ বা সরকারি যাচাইকরণে কোনও বাধা থাকে না। বাবা-মা বা অভিভাবকের আধারকে ভিত্তি করে শিশুদের পরিচয় নির্ধারণ করা হয়, কারণ এই বয়সে বায়োমেট্রিক সংগ্রহ করা হয় না।
পোস্ট অফিসে আধার (Aadhaar Card) এনরোলমেন্ট প্রক্রিয়া এখন অত্যন্ত দ্রুত এবং সহজ। বাবা-মাকে শুধু নিকটবর্তী পোস্ট অফিসে গিয়ে আধার এনরোলমেন্ট কেন্দ্রে শিশুর জন্ম শংসাপত্র এবং বাবা বা মায়ের আধার কার্ড জমা দিতে হবে। সেখানেই প্রাথমিক নথি যাচাইকরণ সম্পন্ন করা হয়। নিরাপত্তার স্বার্থে অভিভাবকের বায়োমেট্রিক যাচাইকরণ করা হয়, যাতে কোনও ভুল তথ্য বা জাল আধার তৈরির ঝুঁকি না থাকে। এরপর শিশুর ছবি তোলা হয় এবং আবেদনটি ডিজিটালভাবে নথিভুক্ত করা হয়। পুরো প্রক্রিয়াটি মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই সম্পন্ন হয়ে যায়। আবেদন গ্রহণের কিছুদিন পর আধার কার্ড ডাকযোগে অভিভাবকের ঠিকানায় পৌঁছে যায়। একই সঙ্গে ই-আধারও অনলাইনে ডাউনলোডের জন্য উপলব্ধ হয়, যা নানা কাজে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবহারের সুযোগ দেয়।
অনেক বাবা-মা মনে করেন শিশুদের আধার (Aadhaar Card) তৈরিতে অতিরিক্ত চার্জ থাকতে পারে, কিন্তু বাস্তবে পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুদের আধার এনরোলমেন্ট পুরোপুরি বিনামূল্যে। কোনও ফর্ম ফি, প্রসেসিং ফি বা পরিষেবা ফি দিতে হয় না। শুধু দুটি নথি—শিশুর জন্ম শংসাপত্র এবং অভিভাবকের আধার—নিয়েই পোস্ট অফিসে উপস্থিত হলে এনরোলমেন্ট সম্পন্ন হয়ে যায়। সরকারের নিয়ম অনুযায়ী এই বয়সে বায়োমেট্রিক না নেওয়ায় অভিভাবকের পরিচয় যাচাইকরণই যথেষ্ট ধরা হয় এবং সেখান থেকেই শিশুর পরিচয়ের সত্যতা নির্ধারিত হয়।

আরও পড়ুন: কর্পোরেট চাকরি ছেড়ে শুরু চাষাবাদ! তাতেই টাকার বৃষ্টি, বার্ষিক ৫০ লক্ষ উপার্জন তামিলনাড়ুর প্রৌঢ়ের
সব মিলিয়ে, পোস্ট অফিসের এই নতুন সুবিধা গ্রামীণ ও শহুরে—দু’ধরনের পরিবারকেই বড় স্বস্তি দিচ্ছে। আধার তৈরির দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ানো বা অতিরিক্ত নথি জোগাড়ের ঝামেলা ছাড়াই বাবা-মা এখন সহজেই শিশুদের ‘বাল আধার’ তৈরি করাতে পারছেন। ভবিষ্যতে সরকারি পরিষেবায় আরও ডিজিটালীকরণ হলে এই আধারই হবে শিশুর প্রথম ও গুরুত্বপূর্ণ পরিচয়, যা প্রতিটি পরিবারের জন্য অত্যন্ত উপকারী উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।












