বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তমলুক পুরসভায় চেয়ারম্যান বদলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের ভেতরেই শুরু হয়েছে প্রবল টানাপোড়েন। একদিকে নতুন পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, অন্যদিকে সাসপেন্ড হওয়া কাউন্সিলরের বিস্ফোরক অভিযোগ, সব মিলিয়ে অস্থিরতা বাড়ছে তমলুক পুরসভা (Tamluk Municipality)-তে।
তমলুকে (Tamluk Municipality) সাসপেন্ড কাউন্সিলরের বিস্ফোরক অভিযোগ
পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে (Tamluk Municipality) নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ ঘিরে তৃণমূলের অন্দরে তীব্র সংঘাত। দলের নবনিযুক্ত পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করার পরই সাসপেন্ড করা হয়েছে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর পার্থসারথি মাইতিকে। দলের তরফে জানানো হয়েছে দলীয় ভাবে কেউ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাসপেন্ড হওয়ার পরেই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তমলুকের (Tamluk Municipality) ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পার্থসারথি মাইতি। তিনি বলেন, “যদি আমার মৃত্যু হয়, তার জন্য দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, আর পূর্ব মেদিনীপুরের এসপি।” এছাড়াও আরও অভিযোগ জানিয়ে তিনি বলেন, “আমার যে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল… ২০২০ সালে যখন শুভেন্দু নানা জায়গায় গণ্ডগোল করেছিলেন… মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, আর পূর্ব মেদিনীপুরের এসপি, এই তিনজনই দায়ী থাকবেন।”
নতুন চেয়ারম্যানের ডাকা প্রথম বোর্ড মিটিংয়েই গরহাজির ছিলেন তৃণমূলের ৯ জন কাউন্সিলর সহ মোট ১১ জন। সেখানেই আরও একবার সরাসরি আক্রমণ করেন পার্থসারথি মাইতি। তাঁর অভিযোগ, “শুভেন্দু অধিকারীর ভাবশিষ্য চঞ্চল খাঁড়াকে আমরা তখনও দুর্নীতির জন্য প্রতিবাদ করেছি, আজও করছি। জেলা সভাপতি এসে শুধু চঞ্চল খাঁড়ার সঙ্গে গল্প করতে পারেন, টাকা তুলতে পারেন, এটা হতে পারে না। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ তাঁকে মানেন না, এটাই তার প্রমাণ।” পাল্টা তমলুক পুরসভার নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান চঞ্চল খাঁড়ার দাবি, “যদি কোনও কাউন্সিলর এমন অভিযোগ করেন, তিনি আর যাই হোক, আমার দলের কাউন্সিলর নন। আইন অনুযায়ীই মিটিং হয়েছে।”
লোকসভার খারাপ ফলের পরেই বদল, বিতর্ক বাড়াল IPAC প্রসঙ্গ
লোকসভা নির্বাচনে দুর্বল পারফরম্যান্সের পর তৃণমূল বিভিন্ন পুরসভায় রদবদল করে। শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে তমলুক পুরসভার (Tamluk Municipality) চেয়ারম্যান দীপেন্দ্রনারায়ণ রায়কে সরানো হয়। প্রথমে বিমল ভৌমিককে বসানোর কথা থাকলেও শেষমেশ চেয়ারম্যান হন চঞ্চল খাঁড়া।

আরও পড়ুনঃ SIR-এর কাজের চাপ সহ্য করতে না পেরে মৃত্যু, মৃত কর্মীদের পাশে মমতা, বড় ঘোষণা করল নবান্ন
এ নিয়েই তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন তমলুকের (Tamluk Municipality) সাসপেন্ড কাউন্সিলর পার্থসারথি। তাঁর অভিযোগ, “IPAC বলে বড় সংস্থা আছেন। উনি সবাইকে নজরে রাখেন। টাকা দিয়ে এসেছ বাবা, তোমাকে জেতাতেই হবে। আমাদের কথা না শুনে দুর্নীতিগ্রস্ত লোককে চেয়ারম্যান করা হয়েছে। কর্মীদের বলছি, যেখানে দেখবেন, সেখানে বেঁধে রাখুন।” এই মন্তব্যের পরই তৃণমূল তাঁকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করে।












