বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রবিবার থেকেই শিরোনামে ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়ি। বড়মা বীণাপাণি দেবীর ঘর ‘দখল’ নিয়ে চরমে পৌঁছেছে মমতাবালা ঠাকুর এবং শান্তুনু ঠাকুরের (Shantanu Thakur) সংঘাত! বিজেপি (BJP) নেতার অভিযোগ, তাঁর জেঠিমা তথা তৃণমূল নেত্রী মমতাবালা তাঁর ঠাকুমার ঘরে তালা দিয়ে রেখেছে। সেই তালা ভাঙতেই শুরু হয় বিতর্ক। এসবের মাঝেই এবার লস্কর-ই-তৈবার কাছ থেকে হুমকি চিঠি (Threat Letter) পেলেন শান্তনু।
সোমবার উক্ত জঙ্গি সংগঠনের নাম করে কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনুর কাছে একটি চিঠি আসে। দেগঙ্গার এক বাসিন্দার লেখা সেই চিঠিতে হুমকি দেওয়া হয়েছে, NRA কিংবা CAA চালু হলে ঠাকুরবাড়ি বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হবে। জানা যাচ্ছে, এই ঘটনায় বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন মতুয়া মহাসংঘের নেতা। হুমকি চিঠি পাওয়ার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে জানিয়েছেন তিনি।
লস্কর-ই-তৈবার (Lashkar-e-Taiba) নামে হুমকি চিঠি পাওয়া প্রসঙ্গে শান্তনু বলেন, আমার কাছে একটি হুমকি চিঠি এসেছে। আমি সেই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছি। সংবাদমাধ্যমের দ্বারা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও অবগত করার চেষ্টা করছি।
আরও পড়ুনঃ হেভিওয়েট তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ! মামলা গেল কলকাতা হাইকোর্টে
শান্তনুকে পাঠানো হুমকি চিঠিটি বাংলা হরফে লেখা হয়েছে। সেখানে হুমকি দেওয়া হয়েছে, NRA কিংবা CAA চালু হলে ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়ি উড়িয়ে দেওয়া হবে। এমনকি ঠাকুরবাড়ির সদস্যদের ক্ষতি করার কথাও সেই চিঠিতে লেখা আছে বলে খবর।
বিষয়টি কানে এসেছে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালারও (Mamata Bala Thakur)। তিনি অবশ্য বিষয়টিকে ‘নাটক’ বলে দাবি করেছেন। মমতাবালা বলেন, গতকাল রাতে বড়মার ঘরে ঢোকার জন্য শান্তনু যা করেছেন, সেই বিষয়টি থেকে মানুষের দৃষ্টি সরাতেই এসব করছেন তিনি। কেউ তাঁকে কোনও হুমকি চিঠি পাঠায়নি, সবটা বানানো বলে দাবি করেন মমতাবালা।
প্রসঙ্গত, রবিবার থেকে চরমে পৌঁছেছে ঠাকুরবাড়ির পারিবারিক দ্বন্দ্ব। শান্তনুর অভিযোগ, তাঁর ঠাকুমার ঘর ‘দখল’ করে রেখেছেন তাঁর জেঠিমা তথা তাঁর নেত্রী মমতাবালা। নাতি হিসেবে তাঁরও সেই ঘরে প্রবেশের অধিকার রয়েছে। গতকালও সেই চেষ্টাই করছিলেন। তালা দেওয়া ছিল বলে তালা ভেঙে ঢুকতে হয়েছে বলে জানান বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী। এদিকে মমতাবালার দাবি, ওই ঘরের দেখভাল তিনিই করেন। গতকাল দলবল নিয়ে সেই ঘরে প্রবেশ করেন শান্তনু। তাঁকে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন তৃণমূল নেত্রী।