বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নদিয়ায় ফের মিলল এক বিএলও-র ঝুলন্ত দেহ (BLO commits suicide)। কাজের চাপে মৃত্যু-এই অভিযোগ ঘিরে ফের উত্তপ্ত প্রশাসনিকমহল। জলপাইগুড়ির ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই নদিয়ায় উঠে এল একই অভিযোগ, যার জেরে নড়েচড়ে বসল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)।
নদিয়ায় বিএলও-র আত্মহত্যার (BLO commits suicide) রিপোর্ট চাইলেন সিইও
শনিবার কৃষ্ণনগরের ষষ্ঠীতলায় বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় রিঙ্কু তরফদারের ঝুলন্ত দেহ (BLO commits suicide)। বছর ৫১-র ওই মহিলা একটি স্কুলের পার্শ্বশিক্ষিকা ছিলেন এবং সাম্প্রতিক সময়ে তাঁকে বিএলও-র দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। পরিবারের অভিযোগ, অনলাইনে তেমন দক্ষ না হওয়ায় ওই দায়িত্ব তাঁর পক্ষে সামলানো কঠিন ছিল। কাজের চাপেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি পরিবারের সদস্যদের।
সুইসাইড নোটে সরাসরি নির্বাচন কমিশনকে দায়ী
ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে। সেখানে রিঙ্কু লিখেছেন, “বিএলও-র কাজ তুলতে না পারলে প্রশাসনিক চাপ আসবে। তা আমার পক্ষে নেওয়া সম্ভব নয়।” তিনি আরও লিখেছেন, “আমার এই পরিণতির জন্য নির্বাচন কমিশন দায়ী। আমি কোনও রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করি না। খুবই সাধারণ মানুষ। কিন্তু এই অমানুষিক কাজের চাপ আমি নিতে পারছি না।” তাঁর এই বক্তব্য ঘিরে তীব্র আলোড়ন তৈরি হয়েছে প্রশাসনিকমহলে।
ঘটনার (BLO commits suicide) পরই তৎপর হন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) মনোজ কুমার আগরওয়াল। নদিয়ার জেলাশাসক তথা ডিইও-র কাছ থেকে দ্রুত রিপোর্ট চেয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, ফোনেও জেলাশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সিইও।

আরও পড়ুনঃ এক ঝটকায় বদলে গেল দেশের শ্রম আইন! নতুন কোডে পাওয়া যাবে কোন কোন সুবিধা? জানুন বিস্তারিত
এর আগে জলপাইগুড়ির মালবাজারে শান্তি মুনি ওরাওঁ নামে এক বিএলও-র ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল (BLO commits suicide)। ওই ঘটনাতেও কাজের চাপের অভিযোগ উঠে আসে। সেই ঘটনায়ও জলপাইগুড়ির জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে কমিশন। তবে এখনও সেই রিপোর্ট মেলেনি। তার মধ্যেই ফের নদিয়ায় একই পরিস্থিতি সামনে আসায় উদ্বেগ বাড়ছে নির্বাচন দপ্তরে।












