ফের DA বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মীদের! ভোটের আগেই ধামাকা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলায় দাঁড়িয়ে বর্তমানে অন্যতম একটি চর্চিত বিষয় ডিএ (DA) ইস্যু। যা নিয়ে বহুদিন থেকে উত্তাল রাজ্য। একদিকে রাজ্য অন্যদিকে রাজ্য সরকারি কর্মচারীগণ। কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে দফায় দফায় আন্দোলন চালাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা (West Bengal State Government Employee’s)। আদালতে সবুজ সংকেত পেয়েও হয়নি সুরাহা। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে আছে মামলা। তবে এরই মাঝে ভোটের আগে সুখবর।

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা (Dearness Allowance) বাড়ছে। গত ফেব্রুয়ারী মাসে বাজেট পেশ করে একথা জানিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এবারও চার শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বাড়ছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের এমনটাই জানানো হয়েছিল। আগে ১০ শতাংশ ডিএ পেতেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। তা বাড়িয়ে বর্তমানে ১৪ শতাংশ করা হয়েছে। যদিও তাতে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের ডিএয়ের প্রচুর ফারাক থেকেই যাচ্ছে।

জানিয়ে রাখি, সম্প্রতি আরও ৪% ডিএ বৃদ্ধি করেছে কেন্দ্র সরকার। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে বর্ধিত ডিএ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় ৫০ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা।

এরই মধ্যে এবার ফের ডিএ বাড়ল রাজ্য সরকারি কর্মীদের। তবে নতুন করে ডিএ বাড়ছে না। আগেই রাজ্য বাজেটে জানানো হয়েছিল, ২০২৪ সালের মে থেকে সেই বর্ধিত ডিএ কার্যকর হবে। অর্থাৎ নয়া অর্থবর্ষ থেকে সেই ডিএ কার্যকর হয়েছে। এই মে থেকেই রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় (১০+৪)= ১৪ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পাবেন।

In addition to DA-pension, government employees will get a lot of money

আরও পড়ুন: খিল্লির পাত্র, কার্টুন ক্যারেক্টর! রেডি-স্টেডি-গো…অভিজিতকে চরম কটাক্ষ দেবাংশুর

তবে এখনও কেন্দ্রের সঙ্গে এ রাজ্যের ডিএয়ের ফারাক ৩৬ শতাংশ। যা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। সুপ্রিম কোর্টে পঞ্চম বেতন কমিশনের আওতায় বকেয়া ডিএ মামলা চলছে। এর আগের শুনানির দিনও সময়ের অভাবে মামলা ওঠেনি সর্বোচ্চ আদালতে। আগামী ১৫ জুলাই ফের সেই ডিএ মামলা উঠবে সুপ্রিম কোর্টে। সেদিন রাজ্য সরকারি কর্মীদের ভাগ্য খোলে কিনা সেটাই এখন দেখার।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর