বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আপডেট সামনে এসেছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ৭ মাসে চিনে ভারতের (India) রফতানি প্রতি মাসে বৃদ্ধি পেয়েছে। যেটি অক্টোবরে সর্বোচ্চ ৪২ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। এর বিপুল রফতানি ভারতকে আমেরিকার আরোপিত ভারী শুল্কের প্রভাব কিছুটা প্রশমিত করতে সাহায্য করেছে। এপ্রিল থেকে অক্টোবরের মধ্যে চিনে রফতানির পরিমাণ গত বছরের তুলনায় ২৪.৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১০.০৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।পেট্রোলিয়াম প্রোডাক্ট, টেলিকম সরঞ্জাম এবং মেরিন গুডস এদিক থেকে এগিয়ে রয়েছে। তবে, সামগ্রিকভাবে ভারতের পণ্য রফতানি মাত্র ০.৬৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
চিনে বিপুল রফতানি ভারতের (India):
এই প্রসঙ্গে একজন আধিকারিক জানিয়েছেন যে, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভারত-চিন বাণিজ্যের জন্য এটি সবচেয়ে শক্তিশালী সময়। বিশেষ করে এটা এমন একটি সময় যখন বিশ্বব্যাপী চাহিদা দুর্বল এবং অনেক প্রধান দেশ তাদের রফতানিতে পতন দেখছে। উল্লেখ্য যে, চিন ভারতের সবচেয়ে বড় পণ্য সরবরাহকারী দেশ হিসেবে বিবেচিত হয়। এপ্রিল থেকে অক্টোবরের মধ্যে চিন ভারতে ৭৩.৯৯ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য বিক্রি করেছে। এই সময়ে চীনের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৬৪ বিলিয়ন ডলার।

পেট্রোলিয়াম প্রোডাক্টের চাহিদা বেশি: তথ্য অনুসারে, গত এপ্রিল মাসে চিনে রফতানি ১১ শতাংশ, জুলাই মাসে ২৮ শতাংশ এবং সেপ্টেম্বরে ৩৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এপ্রিল-অক্টোবর মাসে চিন ছিল ভারতের চতুর্থ বৃহত্তম এক্সপোর্ট ডেস্টিনেশন। গত অক্টোবরে চিনে শক্তিশালী রফতানি ভারতের সামগ্রিক রফতানি কর্মক্ষমতার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে উল্টো ছিল। সেই মাসে, গত ২৭ অগাস্ট আমেরিকা কর্তৃক আরোপিত ৫০ শতাংশ শুল্কের কারণে ওই মাসে ভারতের মোট রফতানি ১১.৮ শতাংশ কমে ৩৪.৩৮ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে, সোনার আমদানি বৃদ্ধির কারণে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি রেকর্ড ৪১.৬৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এক্ষেত্রে, অক্টোবরের জন্য আলাদা তথ্য পাওয়া যায়নি। কিন্তু এপ্রিল-সেপ্টেম্বর মাসে চিনে পেট্রোলিয়াম প্রোডাক্টের রফতানি দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে ১.৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। যা চিনে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফুয়েলের উচ্চ চাহিদার ইঙ্গিত দেয়।
আরও পড়ুন: বড় পদক্ষেপ! এবার এই বিশেষ কারণে আরও ২ টি কোম্পানি গঠন করল আদানি গ্রুপ
এই সেক্টরে রেকর্ড রফতানি: জানিয়ে রাখি যে, টেলিকম সরঞ্জাম আরেকটি দ্রুত বর্ধনশীল বিভাগ ছিল। এক্ষেত্রে রফতানি ৩ গুণেরও বেশি বেড়ে ৭৭৮.২৩ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। যা আগের ২০৭.২৬ মিলিয়ন ডলারের থেকে বেশি। ওই আধিকারিক আরও বলেন, টানা ৭ মাস ধরে চিনে ভারতের রফতানি বৃদ্ধি দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী বাণিজ্য সম্পর্কের ইঙ্গিত দেয়। তিনি আরও জানান,, ২০২৬ অর্থবর্ষের বাকি সময়ের জন্য ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দেখা যাচ্ছে। সামুদ্রিক খাবার রফতানিও ৫৪৮.৩৬ মিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ৬৫৯.২৭ মিলিয়ন ডলার হয়েছে।












