বাংলা হান্ট ডেস্ক : চেন্নাই (Chennai Super Kings) তাণ্ডবে আটকে গেল নাইটদের (Kolkata Knight Riders) বিজয়রথ। CSK-র ঘরের মাঠে হার হাতে নিয়ে বাড়ি ফিরল KKR। অন্যদিকে কলকাতাকে হারিয়ে জয়ের দৌঁড়ে ফিরল চেন্নাই। গতকালকের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ২০ ওভারের শেষে কেকেআরের প্রাপ্তি ৯ উইকেট ১৩৭ রান। সেই রানের টার্গেট পূরণ করতে গিয়ে ১৪ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেন চেন্নাই। ঠিক কোন অঙ্কে থামল কেকেআরের বিজয়রথ? সামনে আসছে পাঁচ কারণ।
পাওয়ার প্লে : মাঠে নেমেই সকলের টার্গেট থাকে পাওয়ার প্লে তে সর্বাধিক রান তুলে নেওয়ার। তবে এইদিন পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারে নাইটদের দখলে আসে মাত্র ৫৬ রান। তার উপর প্রথম বলেই গ্যালারিতে ফেরেন নাইটদের ওপেনার সল্ট। শুরুতে কম রান ওঠার প্রভাব দেখা গেল গোটা ম্যাচেই।
উইকেট বাঁচিয়ে খেলার প্রবণতা : দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে রানের পাহাড় গড়েছিল কেকেআর। ঝড় তুলেছিল সুনীল নারিনের ব্যাট। তবে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে তেমন কিছুই দেখা গেলনা। অঙ্গকৃশ এবং নারাইনের পার্টনারশিপ থেকে উঠে আসে মাত্র ৫৫ রান। এটিই সবচেয়ে বড় রানের জুটি। সবে মিলিয়ে কলকাতার ব্যাটিংটাই ভেঙে পড়ে চেন্নাই বোলারদের সামনে।
আরও পড়ুন : সাত সকালে বোমাতঙ্ক! উড়িয়ে দেওয়া হবে রাজ্যের একাধিক স্কুল, হুমকি মেইল নিয়ে হুলস্থুল কাণ্ড
বড় শটের অভাব : গোটা ইনিংসে মোট ১১টি চার এবং চারটি ছক্কা এসেছে কেকেআরের ব্যাট থেকে। এমনিতেই টি ২০ হল বাউন্ডারিরই খেলা, সেখানে এত কম চার, ছক্কা নিয়ে জয় হাসিল করা কঠিন।
জাডেজার বিধ্বংসী বোলিং : এইদিন স্যার জাদেযার আক্রমণাত্মক বোলিং-র সামনে কার্যত ফিকে পড়ে যায় নাইটদের ব্যাটিং লাইন। তার উপর কলকাতার একমাত্র ভরসাযোগ্য জুটি নারাইন এবং অঙ্গকৃশকেও এক ওভারেই ডাউন করে দেন জাদেযা। এরপরে আর কোনও জুটিই রান তুলে আনতে পারেনি। নিয়মিত ব্যবধানে পড়তে থাকে উইকেট।
নিষ্প্রভ স্টার্ক : অল্প রান কেকেআরের হারের অন্যতম কারণ হলেও একমাত্র কারণ নয়। অল্প রান করেও ম্যাচ জিতেছে এমন নজিরও বিরল নয়। তবে সেক্ষেত্রে বোলারদের মূখ্য ভূমিকা পালন করতে হয়। ২৪ কোটির স্টার্ক এদিনও নিষ্প্রভই রইলেন। তিন ওভারে মোট ২৯ রান দিয়েছেন তিনি। ম্যাচ শেষে পর্যালোচনা করতে বসলে দেখা যায় কলকাতার হারের কারণ এক নয় একাধিক।