বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভূপতিনগর কাণ্ডে (Bhupatinagar Incident) রাজনৈতিক চাপানউতোর অব্যাহত। এনআইএ-র ওপর হামলা হয়েছিল নাকি এনআইএ হামলা করেছিল তা নিয়ে এখনও চর্চা চলছে। এসবের মাঝেই এবার কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ভূপতিনগরে আধিকারিকদের ওপর ‘হামলা’র ঘটনায় আদালতের গিয়েছে এনআইএ।
ইতিমধ্যেই মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। মঙ্গলবার তথা আজ দুপুর আড়াইটে-তে মামলার শুনানি হবে বলে খবর। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের একটি বিস্ফোরক মামলার তদন্তে শনিবার ভূপতিনগর গিয়েছিলেন এনআইএ (NIA) গোয়েন্দারা। জানা যাচ্ছে, স্থানীয় দুই তৃণমূল (TMC) নেতাকে গাড়িতে তোলা মাত্রই বাঁধে বিপত্তি। কেন্দ্রীয় এজেন্সির গাড়িতে হামলা করেন একদল গ্রামবাসী।
এই ঘটনায় একজন এনআইএ (National Investigation Agency) আধিকারিকের চোট লাগে বলে খবর। সেদিনই ভূপতিনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এখনও অবধি যদিও এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। অন্যদিকে শনিবার রাতেই ধৃত এক তৃণমূল নেতার পরিবারের তরফ থেকে তদন্তকারীদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুনঃ ED পেটানোর পর মিড ডে মিল দুর্নীতি! ভোটের আগে ফের শিরোনামে সন্দেশখালি, বিতর্কে TMC!
ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে সুর চড়িয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই দাবি করেছিলেন, ভূপতিনগরে মহিলারা হামলা করেননি, এনআইএ আধিকারিকরা হামলা করেছিলেন। গ্রামে হানা দেওয়ার সময় নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে জোড়াফুল শিবির। সেই সঙ্গে উচ্চপদস্থ এক এনআইএ কর্তার সঙ্গে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির বৈঠক নিয়েও সুর চড়িয়েছে তারা।
সম্প্রতি ভূপতিনগর কাণ্ড নিয়ে একটি দীর্ঘ বিবৃতি প্রকাশ করে এনআইএ। কোনও অনৈতিক কাজ করা হয়নি বলে সেই বিবৃতিতে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। একইসঙ্গে ‘বিনা প্ররোচনা’য় হামলার অভিযোগও এনেছেন তাঁরা।
এদিকে তৃণমূলের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি আবার দিল্লিতে ধর্নায় বসেছে। সোমবারের পর মঙ্গলবারও মন্দির মার্গ থানা চত্বরে ধর্নায় বসেন ডেরেক ও’ব্রায়েন, দোলা সেন, শান্তনু সেনরা। অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন সুনিশ্চিত করা এবং নির্বাচনের সময় চার কেন্দ্রীয় এজেন্সির প্রধানের বদলের দাবি তুলেছে জোড়াফুল শিবির।