বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফলাফল সামনে এসেছে কিছুদিন আগেই। স্কুল সার্ভিস কমিশন (School Service Commission) নতুন নিয়োগের প্যানেলের ইন্টারভিউ তালিকাও প্রকাশ করেছে। বর্তমানে এসএসসির ২০২৫ সালের একাদশ-দ্বাদশে শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া চলছে। আর তাতেই বড়সড় গণ্ডগোল ধরা পড়ল। নথি যাচাই পর্বে দেখা গেল গত পাঁচ দিনে প্রায় ৪২০০ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩০০ জনেরও বেশি প্রার্থী ভুয়ো বা জাল নথি (Fake Documents) জমা দিয়ে আবেদন করতে গিয়েছেন আর হাতেনাতে ধরা পড়েছেন।
কি বলল কমিশন? School Service Commission
এসএসসির তরফে এই তথ্য সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রীতিমতো। ৪২০০ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩০০ জনেরও বেশি প্রার্থী অর্থাৎ মোট পরীক্ষার্থীর প্রায় সাড়ে সাত শতাংশই ভুয়ো নথি নিয়ে আবেদন করেছেন শিক্ষক নিয়োগের জন্য। শিক্ষকতার আগাম অভিজ্ঞতার শংসাপত্র এবং জাতিগত শংসাপত্রের ক্ষেত্রে এই গরমিল উঠে এসেছে।
বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস, কম্পিউটার সায়েন্স, পলিটিক্যাল সায়েন্স এবং কমার্স এই ছয়টি বিষয়ে নথি যাচাই করতে গিয়ে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে বলে কমিশন সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, জাল নথির কারণে ৩০০ জনের বেশি প্রার্থীর পদ খারিজ হয়েছে। এর পাশাপাশি আরও ২০০ জন আবেদনকারী নাকি নথি যাচাইয়ের প্রক্রিয়ায় অংশই নেননি।
এই বিষয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, অনলাইনে আবেদনের সময়ে অনেকেই তথ্য ভুল জমা দিয়েছিলেন। সে সব তথ্য এখন যাচাই করার কাজ চলছে। তথ্যে ভুল থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর যোগ্যতা এমনিতেই থাকবে না।

আরও পড়ুন: সোনার দাম দেখে মাথায় হাত সকলের! রবিতে বাড়ল না কমল? রেটচার্ট দেখে নিন এক ক্লিকে
উল্লেখ্য কিছুদিন আগে এসএসসি নিয়োগ সংক্রান্ত এক মামলায় আদালতে স্কুল সার্ভিস কমিশন তরফে আদালতে জানানো হয়েছিল, যদি কোনও আংশিক সময়ের শিক্ষক ফর্ম ফিল আপের সময় ভুল তথ্য দিয়ে থাকেন, তাহলে তাঁর প্রার্থীপদ বাতিল করা হবে। স্কুলশিক্ষা দফতরের এক কর্তার কথায়, সমস্ত প্রার্থীর নথি যাচাই যখন ৪ ডিসেম্বর শেষ হবে, তখন ভুয়ো নথির সংখ্যা তিনশোর চেয়ে অনেক বাড়বে বলেই মনে হচ্ছে।












