ভূপতিনগর কাণ্ডে মুখ পুড়ল রাজ্য পুলিশের! হাইকোর্টে বড় জয় BJP-র

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভূপতিনগর কাণ্ড (Bhupatinagar Incident) নিয়ে বর্তমানে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। সম্প্রতি ‘হামলা’র ঘটনায় কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে এনআইএ। এদিকে বিজেপির সঙ্গে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ‘আঁতাত’ নিয়ে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল। এসবের মাঝেই ভূপতিনগর কাণ্ডে হাই কোর্টে (Calcutta High Court) বড় জয় পেলেন বিজেপি নেতা।

তপন মিদ্দা নামে ভূপতিনগরের এক স্থানীয় বিজেপি (BJP) নেতার অভিযোগ গত ৩ বছরের তাঁর বিরুদ্ধে ২৬টি ফৌজদারি মামলা রুজু করেছে পুলিশ। চার্জশিটও জমা করা হয়েছে। তবে তপনের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও FIR-ই নেই। একটি মামলায় তাকে গ্রেফতারের পর একাধিক মামলায় ‘সোন অ্যারেস্ট’ দেখানো হয়। মামলা খারিজের আর্জি জানিয়ে ওই বিজেপি নেতা কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন।

মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি ছিল। আজ বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত (Justice Jay Sengupta) জানান, তপনের বিরুদ্ধে আপাতত কোনও তদন্ত করতে পারবেন না ভূপতিনগর থানার ওসি। মামলাও তৈরি করা যাবে না। এমনকি যদি অন্য কোনও অফিসার তপনের বিরুদ্ধে তদন্ত করেন, তাহলেও আদালতের অনুমতি ছাড়া চার্জশিট জমা করতে পারবেন না। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, আগামী ১৫ এপ্রিল অবধি অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা যাবে না।

আরও পড়ুনঃ বাতিল হয়ে যাবে ২০১৪-র টেট পরীক্ষা! হাইকোর্টের বিচারপতির হুঁশিয়ারিতে আতঙ্কে শিক্ষকরা

অভিযোগ, তপনের বিরুদ্ধে ২৬টি মামলার মধ্যে বিস্ফোরণের অভিযোগও আছে। অন্তত ৩টি মামলায় এই অভিযোগ রয়েছে বলে খবর। তবে সেক্ষেত্রেও নিয়মানুসারে এনআইএ-কে খবর দেওয়া হয়নি। কোন কোন মামলায় বিস্ফোরণের অভিযোগ থাকলেও কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে জানানো হয়? আগামী সোমবারের মধ্যে রিপোর্ট দিয়ে আদালতকে তা জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

উল্লেখ্য, সোমবারও জাস্টিস সেনগুপ্তের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি। গতকাল পুলিশি রিপোর্ট দেখে বেজায় রেগে গিয়েছিলেন বিচারপতি। আদালত জানতে চেয়েছিল ওই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে কতগুলি মামলা আছে এবং কতগুলি মামলায় অভিযোগ আছে। গতকাল সেই রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। সেখানে লেখা ছিল, আদালতের নির্দেশে যদি রক্ষাকবচ দেওয়া হয় তাহলে অভিযুক্ত নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করতে পারে। এটা দেখে ভীষণ রেগে যান জাস্টিস সেনগুপ্ত।

calcutta high court justice jay sengupta gets angry after seeing bhupatinagar police report

বিচারপতি বলেন, ‘আদালতের রক্ষাকবচের জন্য কবে কোথায় কোন ভোট বানচাল হয়েছে সেটা ওসিকে বলতে হবে’। একইসঙ্গে প্রশ্ন করেন, ‘এই ধরণের রিপোর্ট লেখার সাহস কী করে হল ওসির?’ আজ রিপোর্টে আদালত অবমাননাকর মন্তব্যের জন্য এজলাসে দাঁড়িয়ে ক্ষমা চান ওসি গোপাল পাঠক।

ad

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর