বাংলাহান্ট ডেস্ক : নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টে ভয়ংকর অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকলেন গায়ক কেশব দে। কলকাতা এয়ারপোর্টের একটি দোকান থেকে পিৎজা খেতে গিয়ে মুখে পেরেক আটকাল গায়কের। এই গোটা ঘটনা কেশব দে ভিডিও করে আপলোড করেন ফেসবুকে। যে ভিডিওটি গায়ক আপলোড করেছেন তাতে দেখা যাচ্ছে তার হাতে রয়েছে একটি ছোট্ট পেরেক।
এই ভিডিওতে কেশব দাবি করছেন, কলকাতা বিমানবন্দরের একটি আউটলেট থেকে পিৎজা কিনেছিলেন তিনি। সেই পিৎজাতে কামড় বসাতেই মুখে কিছু একটা শক্ত জাতীয় জিনিসের অনুভূতি পান। গায়ক তারপর দেখেন সেটি একটি ছোট্ট পেরেক বা সূঁচ জাতীয় জিনিস। এই গোটা ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তিনি।
আরোও পড়ুন : ‘ও অভাগী’ ছবির আয় থেকেই হবে গরীব শিশুদের চিকিৎসা! বেনজির কীর্তি প্রযোজক ডাঃ প্রবীর ভৌমিকের
ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে ক্যাপশনে কেশব দে লিখেছেন, “আমি প্রাণে বাঁচলাম আজ।আজ বেনারস যাওয়ার পথে কলকাতা এয়ারপোর্টে Pizza Hut এর অথরাইজ শপ থেকে Pizza কেনার পর প্রথম বাইটে মুখে হঠাৎ একটা পেরেক জাতীয় ধাতব কিছু। কপাল ভালো সেটা আমি গিলে নেইনি। মুখের মধ্যে কিছুটা আঘাতও পাই। আমি সকলকে অনুরোধ করবো খাওয়ার আগে যাচাই করে খান।”
আরোও পড়ুন : ঢুকছে চায়না বারুদ! বীরভূম ছেয়েছে নতুন বোমায়, এই বিস্ফোরকের ক্ষমতা জানলে আঁতকে উঠবেন
এয়ারপোর্ট পিজ্জা হাট থেকে খাবার কেনার সময় সাবধান থাকার পাশাপাশি ভিডিওটা পুরো দেখার জন্য গায়ক অনুরোধ করেন। গায়ক জানান, “তাদের স্টাফরাও স্বীকার করলেন তাদের ভুল।” এই ভিডিওটিতে দেখা যায় ওই দোকানের কর্মী এসে ক্ষমা চাইছেন গায়ক ও তার সঙ্গী-সাথীদের কাছে। গায়কের এই পোস্টে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করেছেন। এক ব্যবহারকারী যেমন লিখেছেন, “কপাল জোরে বেঁচে গেছ।”
আবার অনেকেই গায়ককে সাবধানে থাকতে বলেছেন। অনেক ব্যবহারকারী তির্যক মন্তব্য করেছেন এই ধরনের ভিডিও করার জন্য। তাদের উদ্দেশ্যে কেশব পাল্টা লিখেছেন, যারা বিষয়টি না জেনে ভুলভাল মন্তব্য করছেন তাদের জন্যে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি আপনাদের সাথে যেনো কখনো এমন না ঘটে। নিতে পারবেন না।ভালো হোক আপনাদের। ভালো থাকুন আপনারা।
আমি কিন্তু আপনাদের কাছে জাস্টিস চাইনি। আপনাদের কে সতর্ক করার জন্যে পোস্ট করেছি। কালকে তো কপাল জোরে বেঁচে গেছি। তার পরেও কিছু মানুষ বলছেন “মরে গেলে ভালো হতো?” ছি আপনাদের শিক্ষা ও মানসিকতাকে। যারা পাশে আছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আপনাদের আশীর্বাদের জোরেই বেঁচে গেছি।